১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ধ্বংসের পরিকল্পনা নাসার!

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 11

ক্যালিফোর্নিয়া, ২৬ নভেম্বর: আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)। এই স্পেস স্টেশনেরই নাকি ইতি টানতে চলেছে নাসা। ২৫ বছর ধরে লোয়ার আর্থ অরবিটে রয়েছে আইএসএস। শীঘ্রই সেই স্পেস স্টেশনকে কক্ষপথচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। নাসা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও মনে করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে আইএসএসের ‘মৃত্যু’ ঘটতে চলেছে।

নাসার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিও এ বিষয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। তবে ১০৯ মিটার দীর্ঘ স্পেস স্টেশন ধ্বংস করা খুব একটা সহজ নয়। তাই এই কাজ সম্পন্ন করতে অভিনব পন্থা নিচ্ছে নাসা। আইএসএস-কে কক্ষপথচ্যুত করতে একটি মহাকাশযানের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে নাসা। সেই মহাকাশযানের সঙ্গে আইএসএসের সংযোগ স্থাপন করে তাকে কক্ষপথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা নাসার।

নাসা জানিয়েছে, আইএসএসের সঙ্গে মহাকাশযানটি এমনভাবে জুড়তে হবে যেন কক্ষপথচ্যুত হলেও তা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। সেই মহাকাশযান তৈরি করতে খরচ হবে ১০০ কোটি ডলার। নাসার তরফে জানানো হয়েছে একটি মার্কিন সংস্থা ‘ইউএস ডিঅরবিট ভেহিকেল’ (ইউএসডিভি) তৈরি করবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ধ্বংসের পরিকল্পনা নাসার!

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার

ক্যালিফোর্নিয়া, ২৬ নভেম্বর: আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)। এই স্পেস স্টেশনেরই নাকি ইতি টানতে চলেছে নাসা। ২৫ বছর ধরে লোয়ার আর্থ অরবিটে রয়েছে আইএসএস। শীঘ্রই সেই স্পেস স্টেশনকে কক্ষপথচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। নাসা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও মনে করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে আইএসএসের ‘মৃত্যু’ ঘটতে চলেছে।

নাসার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিও এ বিষয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। তবে ১০৯ মিটার দীর্ঘ স্পেস স্টেশন ধ্বংস করা খুব একটা সহজ নয়। তাই এই কাজ সম্পন্ন করতে অভিনব পন্থা নিচ্ছে নাসা। আইএসএস-কে কক্ষপথচ্যুত করতে একটি মহাকাশযানের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে নাসা। সেই মহাকাশযানের সঙ্গে আইএসএসের সংযোগ স্থাপন করে তাকে কক্ষপথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা নাসার।

নাসা জানিয়েছে, আইএসএসের সঙ্গে মহাকাশযানটি এমনভাবে জুড়তে হবে যেন কক্ষপথচ্যুত হলেও তা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। সেই মহাকাশযান তৈরি করতে খরচ হবে ১০০ কোটি ডলার। নাসার তরফে জানানো হয়েছে একটি মার্কিন সংস্থা ‘ইউএস ডিঅরবিট ভেহিকেল’ (ইউএসডিভি) তৈরি করবে।