চিকিৎসা শাস্ত্রে সাফল্যের মুখ, আসতে চলেছে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
- / 9
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চিকিৎসা শাস্ত্রে সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য দেশের হাতে আসতে চলেছে টিকা। পুণের ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার’ তৈরি টিকাটির নাম ‘কোয়াড্রিভালেন্ট হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ভ্যাকসিন’ বা সংক্ষেপে ‘কিউএইচপিভি’। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সার্ভিকাল ক্যানসারের প্রথম টিকা।‘কিউএইচপিভি’ ভ্যাকসিন কয়েক মাসের মধ্যেই চালু করা হবে, বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন SII- (সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া) এর আদর পুনাওয়ালা।
আদর পুনাওয়ালা বলেন, ” এখনও পর্যন্ত এই টিকার দাম কত হবে সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তা ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে হবে।” বৃহস্পতিবার এই বহুল প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনটির উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
এদিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, এর পরবর্তী পদক্ষেপ টিকা টিকে বাজারে নিয়ে আসা এবং তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
তবে খোলা বাজারে কি পাওয়া যাবে এই টিকা? এই প্রসঙ্গে আদর পুনাওয়ালা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের সাহায্যেই এই টিকা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যদি সব ঠিক থাকে পরের বছর থেকে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও যুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, ৯ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাঁদের এই টিকা দেওয়া যাবে। আবেদনে প্রকাশ কুমার সিং জানিয়েছেন, কিউএইচপিভি ভ্যাকসিন শক্তিশালী সিইআরভিএভিএসি অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি যে কোনও বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায় হাজারগুন বেশি কাজ করে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর কয়েক লক্ষ মহিলা জুরায়ুর মুখে ক্যানসারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হন।মৃত্যুর অনুপাতও বেশি। ভারতে ১৪-৪৪ বছরের মহিলারা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়। মহিলাদের সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।পরিসংখ্যান বলছে, বেশিরভাগ ক্যানসারের পিছনে ভূমিকা থাকে এইচপিভি-র। এই এইচপিভি কে আটকানো গেলে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।