উত্তরপ্রদেশের আমেথিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বেসরকারি মাদ্রাসা

- আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের আমেথির সুলতানপুর-রায়বেরেলি হাইওয়ের পাশে একটি বেসরকারি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অভিযোগ, অবৈধভাবে ওই মাদ্রাসাটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এসডিএম এবং সিওসহ পাঁচ থানার পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে ওই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গৌরীগঞ্জ থানা এলাকার গুজারটোলা গ্রামে চলছিল মাদ্রসাটি। যার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল আদালতে। তহসিলদার আদালতের রায়ের পর সোমবার রাজস্ব ও পুলিশের একটি টিম বুলডোজার নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামে পৌঁছয়। মাদ্রাসার উপর বুলডোজার চালাতেই তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। পুলিশ সুপার বলেন, অবৈধভাবে চারণভূমি দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছিল। যা আদালতের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৫টায় গৌরীগঞ্জের এসডিএম রাকেশ কুমারের নেতৃত্বে একটি টিম মাদ্রাসাটি ভাঙতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এতে গৌরীগঞ্জের এসডিএম, অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শচীন যাদব, বিভিন্ন থানার পুলিশের পাশাপাশি দেড় কোম্পানি ‘পিএসি’ বাহিনী ছিল। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলা বুলডোজার ৩৫ মিনিটে মাদ্রাসাটি গুঁড়িয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জাতীয় সড়কের পাশে চারণভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল অবৈধ মাদ্রাসা। যেখানে গত ২ বছর ধরে অ্যাকাডেমিক কাজ হচ্ছিল না। আদালতের নির্দেশে রাজস্ব ও পুলিশের টিম তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা ব্যবস্থাপকের ছেলে শাকিল আহমেদ বলেন, এখানে ৮ থেকে ১০টা গ্রামের ছাত্ররা পড়তে আসত। মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিও পড়ানো হত। প্রশাসন মাদ্রাসাটি ভেঙে দিয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, মাদ্রাসাটি ২০০৯ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। এখানে কমপক্ষে ১২৫ জন শিশু দ্বীনি শিক্ষা নিচ্ছিল। ২০১৮ সাল থেকে গৌরীগঞ্জ তহসিলদার আদালতে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল।