নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না স্ত্রীকে খুন করে দেহ লোপাট যুবকের
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 6
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নবরাত্রির সময়ে আমিষের বায়না করে স্ত্রী। এতবড় অনাচার সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। খুনের পর স্ত্রীর দেহ লোপাটের জন্য কুয়োয় ফেলে দেয় যুবক। এমনটাই অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার বান্টিখেরা গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামী অংশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। গ্রামের বাসিন্দারাই প্রথম দেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি গ্রামের বাসিন্দা অংশুর স্ত্রী ঈশা ওরফে নঈমার দেহ । স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। অংশুর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। দেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অংশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অংশু। বৃহস্পতিবার নবরাত্রির সময় আমিষ খাওয়ার বায়না করেছিলেন স্ত্রী। বেড়াতে যাওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন বলে দাবি অভিযুক্তের । তা নিয়ে তর্কাতর্কির সময় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে অংশু। এর পর গ্রামের কুয়োয় তাঁর দেহ ফেলে দেয় গুনধর।
এক সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস দশেক আগে আদালতে সইসাবুদ করে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ঈশার পরিবার পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, ২ মার্চ থেকে তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ মার্চ ঘরে ফিরে নঈমা জানান, বন্টীখেড়া গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেছেন তিনি। ফলে তাঁর বাড়িতেই থাকতে চান। এর পর ১৭ মার্চ বাপের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকে মেয়ের সংসারে অশান্তি চলছিল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ঈশার বাবা রশিদ। তাঁর দাবি, শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। তাতে রাজি হননি ঈশা। খুনের নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কারণেই কি তবে এই খুন ? কৌশলে কি নবরাত্রির বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে। নেপথ্যে কি তবে সেই বিদ্বেষে ? তদন্ত শেষ হলে মিলবে সম্পূর্ণ তথ্য।