২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শত্রুদেশ রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলেন ইউক্রেনীয় যুবতী। কিন্তু বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি। একটা সময় পর দু’ই জনই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, দুই দেশের শত্রুতা কোনও দিনই তাদের এক হতে দেবে না, তবে উপায় কি? তাই কোনও কিছু না ভেবেই রুশ-ইউক্রেন থেকে পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসেন শান্তির দেশে অর্থাৎ ভারতে।

ভারতের হিমাচলের ধরমশালার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে এসে হিন্দু ধর্মমতে বিয়ে করে নিজেদের সম্পর্কের পরিণতি দেয়। বিদেশিদের বিয়ে ঘিরে এলাকায় উৎসবের সে এক অন্য রং। হিমাচলের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের সঙ্গে সনাতন ধর্মের মন্ত্রোচ্চারণে বিয়ের ফুল ফুটল দুই তরুণ, তরুণীর।

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর
উল্লেখ্য, পাত্র রাশিয়ার নাগরিক সের্গেই নভিকভ, জন্মসূত্রে রাশিয়ান হলেও বর্তমানে থাকেন ইজরায়েলে। আর পাত্রী ইউক্রেনের নাগরিক ইলোনা ব্রাকোমা। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও চিড় ধরাতে পারেনি তাদের সম্পর্কে।দেশে বিয়ের পরিবেশ নেই।

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর
তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন, ভারতে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রেমিকযুগল। ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহ।
ধর্মশালার এক আশ্রমের পুরোহিতই এক করেন তাদের চার হাত। বর-কনে দু’জনকেই পরানো হয় ভারতীয় পোশাক। বিনোদ শর্মা নামক এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন কন্যাদান করতে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দুই দলে ভাগাভাগি করে পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ হয়েছিলেন বিয়েতে। স্থানীয় রীতিনীতি মেনেই বিবাহ হয় তাদের।

রাশিয়া, ইউক্রেনের এই দুই তরুণ যুগলের বিয়েতে পাত পেড়ে খেয়েছেন প্রচুর মানুষ। ডিজে বাজিয়ে নাচ-গানও হয়েছে। যুদ্ধের দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে উঠেছেন দুজনেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শত্রুদেশ রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলেন ইউক্রেনীয় যুবতী। কিন্তু বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি। একটা সময় পর দু’ই জনই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, দুই দেশের শত্রুতা কোনও দিনই তাদের এক হতে দেবে না, তবে উপায় কি? তাই কোনও কিছু না ভেবেই রুশ-ইউক্রেন থেকে পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসেন শান্তির দেশে অর্থাৎ ভারতে।

ভারতের হিমাচলের ধরমশালার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে এসে হিন্দু ধর্মমতে বিয়ে করে নিজেদের সম্পর্কের পরিণতি দেয়। বিদেশিদের বিয়ে ঘিরে এলাকায় উৎসবের সে এক অন্য রং। হিমাচলের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের সঙ্গে সনাতন ধর্মের মন্ত্রোচ্চারণে বিয়ের ফুল ফুটল দুই তরুণ, তরুণীর।

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর
উল্লেখ্য, পাত্র রাশিয়ার নাগরিক সের্গেই নভিকভ, জন্মসূত্রে রাশিয়ান হলেও বর্তমানে থাকেন ইজরায়েলে। আর পাত্রী ইউক্রেনের নাগরিক ইলোনা ব্রাকোমা। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও চিড় ধরাতে পারেনি তাদের সম্পর্কে।দেশে বিয়ের পরিবেশ নেই।

যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে চার হাত এক হল রাশিয়ার যুবকের সঙ্গে ইউক্রেনীয় যুবতীর
তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন, ভারতে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রেমিকযুগল। ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহ।
ধর্মশালার এক আশ্রমের পুরোহিতই এক করেন তাদের চার হাত। বর-কনে দু’জনকেই পরানো হয় ভারতীয় পোশাক। বিনোদ শর্মা নামক এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন কন্যাদান করতে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দুই দলে ভাগাভাগি করে পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ হয়েছিলেন বিয়েতে। স্থানীয় রীতিনীতি মেনেই বিবাহ হয় তাদের।

রাশিয়া, ইউক্রেনের এই দুই তরুণ যুগলের বিয়েতে পাত পেড়ে খেয়েছেন প্রচুর মানুষ। ডিজে বাজিয়ে নাচ-গানও হয়েছে। যুদ্ধের দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে উঠেছেন দুজনেই।