১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবতীর, দেড় মাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফের শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শহরে। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ২৭ বছর বয়সী এক যুবতীর। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। বুধবার তাঁর ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই বেহালায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই বৃহস্পতিবারই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার নাম দেবপ্রিয়া দত্ত। এর আগে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডেই ২ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।

 

গত মাস দেড়েকের মধ্যেই কলকাতায় ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু বাড়ার পেছনে নাগরিকের একাংশের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, ‘’মানুষের একাংশের সচেতনতার অভাব ডেঙ্গুর বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। অনেকেই বাড়ির ট্যাঙ্কে জল জমাচ্ছেন। যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখছেন। এভাবেই ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এক অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি আমরা। পুরসভা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু নাগরিকরা সচেতন না হলে কোনও পদক্ষেপই সাফল্য আসবে না।’’

 

উল্লেখ্য, পুরসভা তথ্য অনুযায়ী, গত ২ জানুয়ারি থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত শহরের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫২ জন। ২১ আগস্ট তা আচমকা বেড়ে ৪৩৬ জন হয়। ২৮ অগাস্ট সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭৬। গত ৪ আগস্টের রিপোর্ট অনুসারে সংখ্যাটা আরও বেড়ে, শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৭৯৫।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবতীর, দেড় মাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফের শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শহরে। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ২৭ বছর বয়সী এক যুবতীর। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। বুধবার তাঁর ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই বেহালায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই বৃহস্পতিবারই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার নাম দেবপ্রিয়া দত্ত। এর আগে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডেই ২ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।

 

গত মাস দেড়েকের মধ্যেই কলকাতায় ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু বাড়ার পেছনে নাগরিকের একাংশের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, ‘’মানুষের একাংশের সচেতনতার অভাব ডেঙ্গুর বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। অনেকেই বাড়ির ট্যাঙ্কে জল জমাচ্ছেন। যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখছেন। এভাবেই ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এক অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি আমরা। পুরসভা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু নাগরিকরা সচেতন না হলে কোনও পদক্ষেপই সাফল্য আসবে না।’’

 

উল্লেখ্য, পুরসভা তথ্য অনুযায়ী, গত ২ জানুয়ারি থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত শহরের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫২ জন। ২১ আগস্ট তা আচমকা বেড়ে ৪৩৬ জন হয়। ২৮ অগাস্ট সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭৬। গত ৪ আগস্টের রিপোর্ট অনুসারে সংখ্যাটা আরও বেড়ে, শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৭৯৫।