শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সংখ্যালঘু  সংগঠন ডুয়ার্স মিল্লাতে ইসলামিয়ার (DMI)  প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ নতুন জল্পনা তৈরি করল ডুয়ার্সে। তাহলে কি আসন্ন নির্বাচনে যে সংখ্যালঘুরা শাসক দলের পাশে ছিল, এবারে তাহলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে?  ডিএমআই আর সাধারণ সম্পাদকের ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্যে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল জলপাইগুড়ি জেলার নব জোয়ার ও জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের যুবরাজ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন দাবি দাবা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তারা, কিন্তু তাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতারা সাক্ষাৎ করতে দেয়নি বলেই অভিযোগ। তাই অভিষেক জেলা ছাড়তেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির সংখ্যালঘু সংঘটন। রবিবার ছুটির দিনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ডি এম আইয়ের ৭০ জনের প্রতিনিধি দল। প্রায় এক ঘটার বেশি সময় ধরে দরজা আটকে তাদের সঙ্গে চলে মন্ত্রীর বৈঠক। বৈঠকে একটি দাবি পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ডি এম আই নেতৃত্বরা। উপস্থিত ছিলেন, ডি এম আই কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সভাপতি কাদের আলি, ইমান মহাজ্জিন সমিতির জেলা সভাপতি উজালউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখমুখি হন ডি এম আইয়ের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন,রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে দরবার করেছিলাম। কিন্তু আমাদের একটি দাবিও পূরণ হয়নি। সংখ্যালঘুদের নিয়ে গেম খেলছে। তাই আজকে আমরা এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার কাছে এসেছে আমাদের দাবি নিয়ে। সংখ্যালঘুরা কেন বঞ্চিত এবং কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে সেই বিষয়ে জানতে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে কেন হঠাৎ বিজেপির সাংসদের সঙ্গে এভাবে সাক্ষাৎ এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেয়। যে ভোটের ফলাফলই বলে দিবে আমরা কাদের সঙ্গে আছি। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা  সংখ্যালঘুদের নিয়ে গেম খেলছে। তারা অন্তর থেকে ঘৃণা করে সংখ্যালঘুরা নেতা হোক তারা চায়না।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা বলেন, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করেননি। সংখ্যালঘুরা প্রতারিত। তাই তারা আজকে আমার কাছে এসেছে তাদের বিভিন্ন দাবিদবা নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কি কি সরকারি সুযোগ সুবিধা তারা পেতে পারেন সেই সম্পর্কে তথ্য জানতে এসেছিলেন। তাদের নিয়ে রাজ্য সরকার খেলছে। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় বিজেপির পাশে ছিল আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও থাকবে বলেই তিনি দাবি করেন সংখ্যালঘু নেতাদের পাশে নিয়ে।