পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘সেবাশ্রয়’ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হয়েছিল চলতি নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে। মাত্র তিন সপ্তাহেই দেখতে দেখতেই ওই প্রকল্প প্রসারিত হয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রজুড়েই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘সেবাশ্রয়’ পরিষেবায় অভিভূত এলাকার সাধারণ মানুষ। আর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারকে তীর্থক্ষেত্র হিসেবে দেখেন তিনি।
দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা হাল তলানিতে। সঠিক পরিষেবা পেতে হলে পকেটে টান পড়ে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতি মডেল সেবাশ্রয়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবশ্রয়ের পরিষেবার খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। শুক্রবার, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, ‘ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। গ্রামে-শহরে এই পরিষেবায় বিভাজন স্পষ্ট। অতিরিক্ত খরচ, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাব। কয়েক দশক ধরে এই সমস্যা চলছে। এরপরেই অভিষেক লেখেন, ‘এখন আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী পরিষেবার মাধ্যমে একটি যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। #Sebaashray হল এই পরিবর্তনের পথ একটি প্রয়াস। কেন্দ্রের এই অচল স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে একটি বাতিস্তম্ভ। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ২ জানুয়ারি ডায়মন্ড হারবার স্টেডিয়াম মাঠ থেকে চলছে ‘সেবাশ্রয়’ পরিষেবার কাজ। এলাকার হাজার হাজার মানুষ সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের পর গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সেবাশ্রয় প্রকল্পের কাজ। ‘সেবাশ্রয়’-এর পরিষেবা দেখতে শুক্রবার সকালে বিষ্ণুপুর আসেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকার পৈলান ও পানকুয়া শিবির পরিদর্শন করেন। ওই সময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন কৃতি মান্না নামে একটি শিশু জটিল সমস্যায় ভুগছে। কৃতীর বাবা-মা কৃতীকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরের পানকুয়া গ্রামে সেবাশ্রয় শিবিরে এসেছিলেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, ওই শিশু জটিল এবং গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। বিষয়টি জানতে পেরেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে শিশুটিকে দেখেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস দেন অসুস্থ পরিবারকে। একজন সাংসদের এমন সহমর্মিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কৃতী মান্নার বাবা।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এবং শিশুটির জন্য দ্রুত ইনজেকশনের ব্যবস্থার কথা শুনে অভিভূত হন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য পরিবহন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমি বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না প্রিয় সংসদের এমন ব্যবস্থাপনায়’।
উত্তরপ্রদেশের এক তীর্থযাত্রী মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন ফতেপুর এলাকায়। তৎক্ষণাৎ জেলা পুলিশ ওই তীর্থযাত্রীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন সেবাশ্রয় ক্যাম্পে। oুত সুস্থ হওয়া ভিন রাজ্যের ওই তীর্থযাত্রী এমন সুন্দর ব্যবস্থার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেন।
করোনাকালীন সময়ে একদিনে ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট করিয়ে নজির সৃষ্টি করেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই একমাত্র সাংসদ যিনি তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে নিঃশধ বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজির সৃষ্টি করে চলেছেন সারাদেশে।