প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে, ঘোষণা ফিলিপস-এর সিইও জ্যাকবসের

- আপডেট : ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 8
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে কোম্পানিগুলি। কোপ পড়েছে সুইগি, জোম্যাটোর মতো অ্যাপভিত্তিক ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলিতেও। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে ফিলিপস। আমস্টারডাম ভিত্তিক এই সংস্থার প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাজারে রটেছে তাদের তৈরি স্লিপ অ্যাপনিয়ার ভেন্টিলেটর মানুষের জন্য বিষাক্ত। ওই যন্ত্রে এমন স্মোক তৈরি হচ্ছে যা ক্ষতি করতে পারে। এই খবর রটার পরেই ফিলিপসের তৈরি ভেন্টিলেটরের বিক্রি কমে যায়। ওই যন্ত্র বদলে নতুন ভেন্টিলেটর আনার পরেও লাভ কিছু হয়নি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর প্রথমের দিকে ১০৫ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় টাকায় প্রায় ৯৩২ কোটি টাকা) ও পরে ১.৬ বিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো) ক্ষতি হয়েছে সংস্থার।
২০২১ সালেই স্লিপ অ্যাপোনিয়ার রোগীদের বিশ্বব্যাপি চিকিৎসার সরঞ্জাম তৈরির বন্ধের কথা জানায় কোম্পানিটি। প্রায় ১৩০ বছর আগেই কোম্পানিটি তার পথ চলা শুরু করেছিল।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি ইদানীংকালে ফিলিপস হেলথকেয়ার প্রোডাক্টও বানাচ্ছিল। আর তাতেই ভরাডুবি এই সংস্থার।
ফিলিপস-এর সিইও রয় জ্যাকবস সোমবার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন। এই ফলে এই সংস্থার বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার কর্মীরা ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে।
তিন মাস আগেই ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা বলেছিল নেদারল্যান্ডসের এই সংস্থা। ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মী সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার কথা বলেছেন সিইও।
সোমবার রয় জ্যাকবস বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও তাদের নিতে হচ্ছে। তিনমাস আগেই ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের কর্মীসংখ্যা আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন। ২০২২ ফিলিপস ও সংস্থার শেয়ার হোল্ডারদের কাছে এটি একটি কঠিন সময়। আমরা আমাদের কার্য সম্পাদনের উন্নতি করতে এবং জরুরিভাবে কর্মক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের মূলত চাকরি যেতে পারে। ট্যুইটার, ফেসবুক, মাইক্রোসফট, গুগলের পর এবার সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে ফিলিপস।