১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতি রাতে অনাহারে ঘুমান প্রায় ৮৩ কোটি,  রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 12

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রতি রাতে বিশ্বের ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ (বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ) অনাহারে ঘুমান। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য এ কথা বলছে। বলা হয়, এক বছর আগের চেয়ে এখন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ। বিগত এক দশকেও এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

এর অর্থ সারাবিশ্বে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব মানুষ অনাহারে থাকেন অথবা রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যান তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। ক্ষুধা হল এমন একটা অবস্থা, যখন শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বঞ্চিত হয়। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খাদ্য সংকটের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের শরীরে শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক দশক ধরে এই ক্ষুধা বা খাদ্যাভাব কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা আবার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ কোটি। এর জন্য দায়ী যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক আঘাত ও করোনা মহামারি। একই সঙ্গে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স ৯৫.১ পয়েন্ট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩.৭ পয়েন্টে। এই ইনডেক্সে পরিমাপ করা হয় চিনি, মাংস, সিরিয়াল, ডেয়ারি এবং ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক মূল্যের পরিবর্তন।

এফএও ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটস বিভাগের অর্থনীতিবিদ মোনিকা তোথোবা বলেন,  খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তা দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণ বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বসবাস এশিয়ায়। তবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রতি রাতে অনাহারে ঘুমান প্রায় ৮৩ কোটি,  রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের  

আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রতি রাতে বিশ্বের ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ (বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ) অনাহারে ঘুমান। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য এ কথা বলছে। বলা হয়, এক বছর আগের চেয়ে এখন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ। বিগত এক দশকেও এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

এর অর্থ সারাবিশ্বে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব মানুষ অনাহারে থাকেন অথবা রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যান তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। ক্ষুধা হল এমন একটা অবস্থা, যখন শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বঞ্চিত হয়। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খাদ্য সংকটের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের শরীরে শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক দশক ধরে এই ক্ষুধা বা খাদ্যাভাব কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা আবার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ কোটি। এর জন্য দায়ী যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক আঘাত ও করোনা মহামারি। একই সঙ্গে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স ৯৫.১ পয়েন্ট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩.৭ পয়েন্টে। এই ইনডেক্সে পরিমাপ করা হয় চিনি, মাংস, সিরিয়াল, ডেয়ারি এবং ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক মূল্যের পরিবর্তন।

এফএও ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটস বিভাগের অর্থনীতিবিদ মোনিকা তোথোবা বলেন,  খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তা দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণ বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বসবাস এশিয়ায়। তবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়।