১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আম্বানি, বাফেটকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম ধনকুবের আদানি

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শিল্পপতি গৌতম আদানি টপকে গেলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটকেও । সোমবার সকলে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন তিনি। ফোর্বসের ধনকুবেরদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছেন টেসলা চিফ এলন মাস্ক। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৬৯.৭ বিলিয়ন ডলার। তার পরই রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এলন মাস্কের থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার কম। বেজোসের সম্পদের পরিমাণ হল ১৭০.২ বিলিয়ন ডলার। এর পরে রয়েছেন বার্নার্ড আরনট। যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৬৬. ৮ বিলিয়ন ডলার। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩০.২ বিলিয়ন ডলার।

কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে গৌতম আদানি বলেছিলেন, আমরা ২০৫০ সাল থেকে ১০ হাজার দিন দূরে রয়েছি। আমার ধারণা দেশের অর্থনীতির আয়তন এই সময়ের মধ্যে আরও ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে। ভারতের কোনও মানুষ তখন না খেয়ে শুতে যাবেন না।বস্ত্র ব্যবসায়ীর ছেলে আদানি ১৯৮৮ সালে প্রথম একটি ভোগ্যপণ্য রপ্তানি প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে ব্যবসায়ে আসেন। এরপর ২০০৮ সালের মধ্যে তিনি প্রথমবারের মতো ফোর্বস-এর বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে ঢুকে পড়েন।করোনা মহামারি শুরুর পর গৌতম আদানির ভাগ্য আরও সুপ্রসন্ন হতে শুরু করে। ২০২০ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন।

মাত্র দুই বছর আগেও আদানির সম্পদের মূল্য ছিল ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু করোনার মধ্যে এই সম্পদ বেড়ে ২০২১ সালের মার্চে আনুমানিক ৫ হাজার ৫০ কোটি ডলারে ওঠে। আর ২০২২ সালের মার্চে তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৯ হাজার কোটি ডলারে উঠে আসে ।বর্তমানে ১২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার নিয়ে ভারত এবং সেই সঙ্গে এশিয়ারও শীর্ষ ধনী। অন্যদিকে ১০ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার নিয়ে ভারতে আদানির পেছনে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আম্বানি, বাফেটকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম ধনকুবের আদানি

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শিল্পপতি গৌতম আদানি টপকে গেলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটকেও । সোমবার সকলে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন তিনি। ফোর্বসের ধনকুবেরদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছেন টেসলা চিফ এলন মাস্ক। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৬৯.৭ বিলিয়ন ডলার। তার পরই রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এলন মাস্কের থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার কম। বেজোসের সম্পদের পরিমাণ হল ১৭০.২ বিলিয়ন ডলার। এর পরে রয়েছেন বার্নার্ড আরনট। যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৬৬. ৮ বিলিয়ন ডলার। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩০.২ বিলিয়ন ডলার।

কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে গৌতম আদানি বলেছিলেন, আমরা ২০৫০ সাল থেকে ১০ হাজার দিন দূরে রয়েছি। আমার ধারণা দেশের অর্থনীতির আয়তন এই সময়ের মধ্যে আরও ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে। ভারতের কোনও মানুষ তখন না খেয়ে শুতে যাবেন না।বস্ত্র ব্যবসায়ীর ছেলে আদানি ১৯৮৮ সালে প্রথম একটি ভোগ্যপণ্য রপ্তানি প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে ব্যবসায়ে আসেন। এরপর ২০০৮ সালের মধ্যে তিনি প্রথমবারের মতো ফোর্বস-এর বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে ঢুকে পড়েন।করোনা মহামারি শুরুর পর গৌতম আদানির ভাগ্য আরও সুপ্রসন্ন হতে শুরু করে। ২০২০ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন।

মাত্র দুই বছর আগেও আদানির সম্পদের মূল্য ছিল ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু করোনার মধ্যে এই সম্পদ বেড়ে ২০২১ সালের মার্চে আনুমানিক ৫ হাজার ৫০ কোটি ডলারে ওঠে। আর ২০২২ সালের মার্চে তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৯ হাজার কোটি ডলারে উঠে আসে ।বর্তমানে ১২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার নিয়ে ভারত এবং সেই সঙ্গে এশিয়ারও শীর্ষ ধনী। অন্যদিকে ১০ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার নিয়ে ভারতে আদানির পেছনে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।