বর্ণবিদ্বেষী’ হামলায় নিহত আদিবাসী শিশু

- আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
- / 5
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তিন সপ্তাহ আগের ঘটনা। ক্যাসিয়াস টার্ভি (১৫) তাঁর পার্থের স্কুল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরছিল। ঠিক সেসময়ই একটি মালবোঝাই গাড়ি থেকে টার্ভি ও তার বন্ধুদের উদ্দেশে বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়।
এক অজ্ঞাত ব্যক্তি গাড়িতে ওঠার পর টার্ভি ও তার বন্ধুদের ছুটতে বলে। এরপর যা ঘটে; তা জানাজানি হতেই সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইতে থাকে। অনেকে অস্ট্রেলিয়ার বুকে বাড়তে থাকা বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জানা যায়; সেদিনের ঘটনায়; গাড়ির ড্রাইভার ও গাড়িতে থাকা অন্যান্যরা আদিবাসী শিশুদের খাওয়া করে। আদিবাসী স্কুল পড়ুয়াদের প্রত্যেকেই তখন ইউনিফর্ম পরেছিল। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে দুই পড়ুয়ার ওপর হামলা চালায় এক ব্যক্তি।
১৩ বছরের এক পড়ুয়াকে তারই ক্রাচ ও ১৫ বছরের আদিবাসী ক্যাসিয়াস টার্ভিকে মেটালের রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সেই ঘটনার ১০ দিন পরই অস্ট্রেলিয়ার নুঙ্গার ইয়ামাৎজি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্যাসিয়াস টার্ভি স্ট্রোকে মারা যায়। এই ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় ২১ বছরের শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি জ্যাক স্টিভেন জেমস ব্রিয়ারলিকে।
তার বিরুদ্ধে ক্যাসিয়াসকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনার পরই অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ বলে; ব্রিয়ারলির গাড়িটি আগের দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই এই হামলার সঙ্গে সেই ঘটনার যোগ থাকতে পারে।
তবে ব্রিয়ারলির গাড়িতে যে ক্যাসিয়াস ও তার বন্ধুরাই ভাঙচুর চালিয়েছে এমন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যে; অজি পুলিশ অফিসাররা এই ঘটনায় বর্ণবিদ্বেষের’ দাবির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এর আগে অস্ট্রেলীয় প্রাধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছিলেন; ‘এই হামলা পুরোপুরি বর্ণবাদী’।