৩,০০০ লিটার মদ কাবুলের নর্দমায় ফেলে দিল তালিবানরা! ভাইরাল ভিডিয়ো

- আপডেট : ৩ জানুয়ারী ২০২২, সোমবার
- / 5
আসছে একের পর এক ড্রাম। তাতে ভরতি মদ। যা ঢেলে ফেলা হচ্ছে খালে। এমনই দৃশ্য ভিডিয়োবন্দি হল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে।আফগান গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কাবুলের একটি খালে ৩ হাজার লিটার মদ ঢেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নতুন তালিবান প্রশাসন অ্যালকোহল বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজটি প্রকাশ করেছে জেনারেল ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স (জিডিআই)। গোয়েন্দা দফতর রাজনীতিতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ মদ বাজেয়াপ্ত করে। তার পর সেই মদ খালে ঢেলে ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি একটি বার্তাও দেওয়া হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। এক নেতাকে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তিনি বলছেন, “মুসলিমদের কোনওরকম মদ তৈরি ও বিক্রির বিষয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। এটি ধর্ম বিরুদ্ধ।” এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে কখন এই তল্লাশি চালানো হয়েছিল, ও কখন এভাবে বাজেয়াপ্ত করা মদ ফেলে দেওয়া হল খালের জলে। গোয়েন্দা দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেআইনি মদ তৈরি ও বিক্রির জন্য তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
د ا.ا.ا د استخباراتو لوی ریاست ځانګړې عملیاتي قطعې د یو لړ مؤثقو کشفي معلومات پر اساس د کابل ښار کارته چهار سیمه کې درې تنه شراب پلورونکي له شاوخوا درې زره لېتره شرابو/الکولو سره یو ځای ونیول.
نیول شوي شراب له منځه یوړل شول او شراب پلورونکي عدلي او قضايي ارګانونو ته وسپارل شول. pic.twitter.com/qD7D5ZIsuL— د استخباراتو لوی ریاست-GDI (@GDI1415) January 1, 2022
আফগানিস্তানে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। এর পাশাপাশি যে কোনওরকম মাদকের উত্পাদন, বিক্রি বা গ্রহণ দণ্ডনীয়। গোয়েন্দারা জানান, সম্প্রতি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তালিবান। এরপরে রাজধানী কাবুলের নর্দমায় প্রায় ৩ হাজার লিটার মদ ঢেলে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার ভিডিয়োও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে নর্দমায় মদের ড্রাম ঢালতে দেখা যাচ্ছে তালিবানদের।
রবিবার টুইটারে পোস্ট করা ফুটেজে সংস্থার একজন গোয়েন্দা কর্তা বলেছেন, “মদ তৈরি এবং সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকা উচিত নয় মুসলিমদের”। এর আগে পশ্চিমী দেশগুলির সমর্থিত পূর্বতন সরকারও আফগানিস্তানে অ্যালকোহল বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ করেছিল। তবে তালিবানের শাসনে এই নিয়ম আরও কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে। গত বছরের ১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকে মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান বেড়েছে।
আফগানিস্তানে অনেকদিন ধরেই মদ বিক্রির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এমনকী পশ্চিমী শক্তির আওতায় যখন আফগানিস্তানে সরকার চলত, তখনও মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। যেহেতু মুসলিম ধর্মীয় আইনের শাসন শুরু হয়েছে তালিবানের শাসনকালে, সেই কারণে তালিবান শাসনে মদ বিক্রি ও তৈরির উপর চলছে কড়া নজরদারি।