১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিংসা কমলে তবেই আফস্পা প্রত্যাহার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হিংসাত্মক ঘটনা কমলে তবেই পূর্ব ভারতের বহু এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে। এমনটাই জানাল ভারতীয় সেনা। উত্তর-পূর্বর রাজ্যগুলি থেকে কবে আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে সেই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা জানান, উত্তর-পূর্বের এখনও অনেক অনেক এলাকাই আফস্পার অধীনে। এইসব এলাকায় হিংসাত্মক ঘটনা যদি একটি গ্রহণযোগ্য সীমায় চলে আসে, তবেই আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে। তবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবশ্য দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বের উপকূল এলাকাগুলিতে গত ৯ মাসে সহিংসতার ঘটনা অনেকটাই কমেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলি থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এটা সম্ভব হয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের কারণে। সহিংসতার ঘটনা কমতে শুরু করলেই আরও বেশি সংখ্যক অঞ্চল থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে এটি নির্ভর করবে স্থানীয় পুলিশ-প্রশসান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কতটা সক্ষম ও সফল তার উপর। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যগুলিকে তা করতে হবে। উল্লেখ্য,অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবার বলেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের আরও দু’টি স্থান থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করার কথা বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আফস্পার অপব্যবহার হচ্ছে বলেও মাঝেমধ্যে অভিযোগ উঠছে। সশস্ত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাগরিক মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে। তাছাড়া এই আইনে সেনাবাহিনীকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও গুলি চালানোর বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই আইনের বলে তাদের হাতে নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিংসা কমলে তবেই আফস্পা প্রত্যাহার

আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হিংসাত্মক ঘটনা কমলে তবেই পূর্ব ভারতের বহু এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে। এমনটাই জানাল ভারতীয় সেনা। উত্তর-পূর্বর রাজ্যগুলি থেকে কবে আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে সেই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা জানান, উত্তর-পূর্বের এখনও অনেক অনেক এলাকাই আফস্পার অধীনে। এইসব এলাকায় হিংসাত্মক ঘটনা যদি একটি গ্রহণযোগ্য সীমায় চলে আসে, তবেই আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে। তবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবশ্য দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বের উপকূল এলাকাগুলিতে গত ৯ মাসে সহিংসতার ঘটনা অনেকটাই কমেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলি থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এটা সম্ভব হয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের কারণে। সহিংসতার ঘটনা কমতে শুরু করলেই আরও বেশি সংখ্যক অঞ্চল থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে এটি নির্ভর করবে স্থানীয় পুলিশ-প্রশসান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কতটা সক্ষম ও সফল তার উপর। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যগুলিকে তা করতে হবে। উল্লেখ্য,অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবার বলেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের আরও দু’টি স্থান থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করার কথা বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আফস্পার অপব্যবহার হচ্ছে বলেও মাঝেমধ্যে অভিযোগ উঠছে। সশস্ত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাগরিক মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে। তাছাড়া এই আইনে সেনাবাহিনীকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও গুলি চালানোর বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই আইনের বলে তাদের হাতে নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে।