২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা খুনে নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই ধরা দিলেন আফতাব

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে একের পর এক চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়ে চলেছেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ইতিমধ্যেই তাকে সঙ্গে করে নিয়ে ছত্তরপুরে জঙ্গল থেকে  শ্রদ্ধার দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অংশগুলিকে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ভাসাই থানার পুলিশ। গত ২৬ অক্টোবর আফতাব  আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। সেই সময় আফতাব জানায়,  গত ২২ মে ঝগড়ার পর শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুরের মেহরৌলির ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছে। জামাকাপড়, অন্যান্য সামগ্রী রেখে গেলেও শ্রদ্ধা মোবাইল ফোন রেখে চলে গিয়েছে। আফতাবের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ শ্রদ্ধার মোবাইল ট্র্যাক করতে শুরু করে।

এদিকে, জেরার চারদিন আগেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। খুনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই তাঁরা দিল্লিতে এসেছিল লিভ-ইনে থাকতে। পুলিশের  তরফে জানানো হয়েছে, গত ২২ মে থেকে ২৬ মে-র মধ্যে শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে  আফতাবের অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। ফোনের লোকেশন ছিল ছত্তরপুরের মেহরৌলি,  যেখানে তারা একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এখানেই পুলিশের সন্দেহ হয়,  যদি ২২ মে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় শ্রদ্ধা,  তবে বাড়ির পাশেই কীভাবে শ্রদ্ধার ফোনের লোকেশন পাওয়া গেল।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানায়, তাঁর কাছেই শ্রদ্ধার ফোন ও ব্যাঙ্কিং অ্যাপের পাসওয়ার্ড থাকায় তিনিই আর্থিক লেনদেন করেছিলেন। সন্দেহ এড়াতে  শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডের বিলও  মিটিয়ে দিয়েছিলেন আফতাব, যাতে ব্যাঙ্কের তরফে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় কাউকে পাঠানো না হয়।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে,  শ্রদ্ধার উপস্থিতি বোঝাতে আফতাবই তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে  শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত। ৩১ মে-র চ্যাটে ফোনের লোকেশন ফের  মেহরৌলিতে দেখা যায়। এরপরই মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে  যোগাযোগ করে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্রদ্ধা খুনে নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই ধরা দিলেন আফতাব

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে একের পর এক চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়ে চলেছেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ইতিমধ্যেই তাকে সঙ্গে করে নিয়ে ছত্তরপুরে জঙ্গল থেকে  শ্রদ্ধার দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অংশগুলিকে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ভাসাই থানার পুলিশ। গত ২৬ অক্টোবর আফতাব  আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। সেই সময় আফতাব জানায়,  গত ২২ মে ঝগড়ার পর শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুরের মেহরৌলির ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছে। জামাকাপড়, অন্যান্য সামগ্রী রেখে গেলেও শ্রদ্ধা মোবাইল ফোন রেখে চলে গিয়েছে। আফতাবের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ শ্রদ্ধার মোবাইল ট্র্যাক করতে শুরু করে।

এদিকে, জেরার চারদিন আগেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। খুনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই তাঁরা দিল্লিতে এসেছিল লিভ-ইনে থাকতে। পুলিশের  তরফে জানানো হয়েছে, গত ২২ মে থেকে ২৬ মে-র মধ্যে শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে  আফতাবের অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। ফোনের লোকেশন ছিল ছত্তরপুরের মেহরৌলি,  যেখানে তারা একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এখানেই পুলিশের সন্দেহ হয়,  যদি ২২ মে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় শ্রদ্ধা,  তবে বাড়ির পাশেই কীভাবে শ্রদ্ধার ফোনের লোকেশন পাওয়া গেল।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানায়, তাঁর কাছেই শ্রদ্ধার ফোন ও ব্যাঙ্কিং অ্যাপের পাসওয়ার্ড থাকায় তিনিই আর্থিক লেনদেন করেছিলেন। সন্দেহ এড়াতে  শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডের বিলও  মিটিয়ে দিয়েছিলেন আফতাব, যাতে ব্যাঙ্কের তরফে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় কাউকে পাঠানো না হয়।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে,  শ্রদ্ধার উপস্থিতি বোঝাতে আফতাবই তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে  শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত। ৩১ মে-র চ্যাটে ফোনের লোকেশন ফের  মেহরৌলিতে দেখা যায়। এরপরই মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে  যোগাযোগ করে।