রাফাহ, ১ ফেব্রুয়ারি: ৯ মাস পর খুলে দেওয়া হলো রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। গাজার অসুস্থ ও আহত ফিলিস্তিনি রোগীদের চিকিৎসার জন্য মিশরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে খুলে দেওয়া হয় রাফাহ ক্রসিং। মিশরীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, একটি ফিলিস্তিনি রেড ক্রস অ্যাম্বুলেন্স ক্রসিং গেটের দিকে এগিয়ে আসছে এবং বেশ কয়েকজন শিশুকে স্ট্রেচারে করে বের করে মিশরের দিকের অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা এই মাসের শুরুতে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে। গাজায় হামাসের হাতে থাকা শেষ জীবিত নারী বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরাইল ক্রসিং পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়। এর আগে ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট হলো মিশর এবং গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট।
শনিবারের শুরুতে হামাস গাজায় তিন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেয় এবং ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হাসপাতাল পরিচালক মোহাম্মদ জাকৌত বলেছেন, ৬,০০০ এরও বেশি রোগীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ১২,০০০ এরও বেশি রোগীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিং দখলের পর বন্ধ করে দেয়।
এমনকি গাজা যুদ্ধের আগেও, ফিলিস্তিনিরা এই ক্রসিংয়ের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করত। নিয়মিতভাবে কেমোথেরাপিসহ জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য ভূখণ্ডের বাইরে ভ্রমণের জন্য অনুমতির আবেদন করত। ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে অস্ত্র পাচারের জন্য সীমান্ত ব্যবহার করার অভিযোগ করে আসছে। তবে মিশর এই দাবি অস্বীকার করেছে।