হরিদ্বারের পর আরও তিনটি বিদ্বেষ ধর্ম সংসদ হতে চলেছে ইউপি-হরিয়ানায়

- আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার
- / 13
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিদ্বেষের বাজার যে ভালোই তা প্রমাণ হচ্ছে। হরিদ্বারে যেমন মুসলিমদের গণহারে হত্যা করার ডাক দেওয়া হয়েছে, তেমনি আরও তিনটি ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। একটি হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে এবং দুটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড় ও গাজিয়াবাদে। হরিদ্বারের মতই এখানেও আলোচ্য বিষয় ‘শস্ত্রমেব জয়তে।’ হরিয়ানার শিব শক্তিধামে আগামী বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি দুদিনের গণহত্যার ডাক দেওয়া হয়েছে। গেরুয়াধারী নরসিংহানন্দই পরের সমাবেশগুলির আয়োজক। তিনি যে ফের মুসলিম নিধনের ডাক দেবেন তা নিয়ে আর কারো মনে কোনও সংশয় নয়।
মুসলিম হত্যার কথা শুনেও বিজেপির কোনও নেতা একটি শব্দও করেননি। অনেকে বলছেন,এরা আসলে বিজেপি নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এরা বিদ্বেষ বীজ পুঁতলে তবে ফসল কেটে ঘরে তুলতে সুবিধা হয় বিজেপির।তাই তারা যে এই গেরুয়াধারী ‘বিদ্বেষীদের’ বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সেটাই স্বাভাবিক।
হরিদ্বারের ভাষণে নরসিংহানন্দ বলেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিতে হবে। কোনও মুসলমান যাতে কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে তিনি হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ।হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।বিদ্বেষ সভায় ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগী এবং অনুষ্ঠানের বক্তা এবং অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত একজনকেও ধরেনি পুলিশ। ফলে এই ধর্মের নাম দিয়ে এই ধরণের বিদ্বেষ ভাষণ দিয়ে তারা হিন্দুদের মন বিষিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।এমন ক্ষেত্রে বহুবারই প্রধানমন্ত্রীকে নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে। বহুদিন পর তিনি তিনি একটি নীতিমূলক প্রতিক্রিয়া হয় দেবেন, যেমনটা তিনি দিয়ে থাকেন। ততদিন এই বিদ্বেষের প্রচারকরা মোদি ও অমিত শাহের নীরবতাকে তাদের কাজের প্রতি সম্মতি ধরে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর কাজ সমান গতিতে চালিয়ে যাবে।