১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই অগ্নিগর্ভ একাধিক জেলা, উত্তরদিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ১

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। মনোনয়ন জমা শেষ দিনেও রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরদিনাজপুরের চোপড়া। ক্যানিং, ভাঙড়ের পর চোপড়ায় চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একজনের, জখম আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার কাঁঠালবাড়ি এলাকায় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বিডিও অফিসে পৌঁছে সাত কিলোমিটারের দূরত্ব ছিল। তার আগেই মিছিলে গুলি চলে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। আর এই শেষদিনেই রক্তাক্ত হল চোপড়া। গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন বাম ও কংগ্রেস কর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক আরও ৩ জন।

বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা করতে না পারেন তার জন্যই হামলা করা হয়। এর আগে তাঁদের দলের মনোনয়ন রুখতে প্রার্থী অপহরণ করা হয়েছিল। বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই এগোচ্ছিল তাঁদের মিছিল। আচমকাই গুলি চালানো হয়। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দিকেই। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। হামিদুল রহমানের দাবি, “বাম-কংগ্রেসের নিজেদের গন্ডগোলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন তৃণমূলের নামে দোষ দিয়ে মানুষের সহানুভূতি কাড়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল গুলি-বোমার রাজনীতি করে না।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই অগ্নিগর্ভ একাধিক জেলা, উত্তরদিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ১

আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। মনোনয়ন জমা শেষ দিনেও রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরদিনাজপুরের চোপড়া। ক্যানিং, ভাঙড়ের পর চোপড়ায় চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একজনের, জখম আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার কাঁঠালবাড়ি এলাকায় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বিডিও অফিসে পৌঁছে সাত কিলোমিটারের দূরত্ব ছিল। তার আগেই মিছিলে গুলি চলে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। আর এই শেষদিনেই রক্তাক্ত হল চোপড়া। গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন বাম ও কংগ্রেস কর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক আরও ৩ জন।

বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা করতে না পারেন তার জন্যই হামলা করা হয়। এর আগে তাঁদের দলের মনোনয়ন রুখতে প্রার্থী অপহরণ করা হয়েছিল। বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই এগোচ্ছিল তাঁদের মিছিল। আচমকাই গুলি চালানো হয়। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের দিকেই। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। হামিদুল রহমানের দাবি, “বাম-কংগ্রেসের নিজেদের গন্ডগোলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন তৃণমূলের নামে দোষ দিয়ে মানুষের সহানুভূতি কাড়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল গুলি-বোমার রাজনীতি করে না।”