মণিপুরের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে সমাজকে শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন আহমেদ হাসান ইমরান

- আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার
- / 8
পুবের কলম প্রতিবেদক, মালদা: ‘মণিপুরের ঘটনার ৮০ দিন পর দেশের প্রধানমন্ত্রী মুখ খুললেন। অর্থাৎ এতদিন বাদে প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা লেগেছে। দেশে নানা ধরণের আক্রমণ আসছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর। সংবিধানের ওপর। এর মধ্যেও আমাদের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। শিক্ষাই হচ্ছে বড় অস্ত্র। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
মালদায় এসে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে এ কথাগুলি বললেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান। শনিবার তারবীয়াহ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিকেলে আয়োজিত জনাব আহমেদ হাসান ইমরান সাহেবকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংস্লিষ্ট স্কুলের অডিটোরিয়ামে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক উত্তরনের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হাজির থেকে বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জনাব নজরুল ইসলাম, কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ নাজিবুর রহমান, মাদ্রাসা বোর্ড সহসচিব আশিক ইকবাল, তারবীয়াহ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দল হান্নান প্রমুখ। ইংরেজিতে সভা সঞ্চালনা করেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আনিকা সামা । এদিন স্কুলের ন্যাশনাল ও রাজ্যে , এলাকায় পুরস্কার প্রাপক ৫০ ছাত্রছাত্রীকে শংসাপত্র ও মেডেল দিয়ে সংবর্ধনা জানান আহমেদ হাসান ইমরান সহ অন্যান্য অতিথিরা।
রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আহমেদ হাসান ইমরান জানান, ‘সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব আমার। পাশাপাশি সরকারি আমলা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ থাকলে কিংবা কেউ বঞ্চিত হলে আমাদের কাছে বলার সুযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তার সমাধানের চেষ্টা করব।’
মানুষের উন্নয়নের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘রাজনীতি নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। কে কোন রাজনীতি করে, আমরা তা দেখব না। আমরা দেখব বাংলার উন্নয়নের দিকে, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কে কোন ভূমিকা নিচ্ছে কিংবা প্রশাসনের কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তার পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
মালদা শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান জানান, ‘মালদার মানুষ চাইছে শিক্ষায় এগিয়ে যেতে। দেখে খুব ভাল লাগছে, কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের মতো ১০০টি ছোট বড় স্কুল গড়ে উঠেছে। একটা বিপ্লব এসেছে। আল আমিন মিশন থেকেই এ বছর ৬০০ পরীক্ষার্থী চিকিৎসক হতে চলেছে।’
এদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ইমাম, শিক্ষানুরাগী বিভিন্ন স্তরের উপস্থিতিতে বিভিন্ন অভাব অভিযোগ, সমস্যা ও কিভাবে সমাধান করা যায় সে নিয়েআলোকপাত করা হয়। পরস্পর মতবিনিময় করা হয়। কিভাবে শিক্ষা স্বাস্থ্য উচ্চ শিক্ষা কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারি সেগুলো আলোকপাত করা হয় আলোচনা সভায়। যে কোন সমস্যা লিখিত আকারে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিলেন আহমেদ হাসান ইমরান। স্বাস্থ্য শিক্ষা ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি যে কোন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে এবং লিখিত আকারে জমা করতে হবে। খতিয়ে দেখে উন্নয়নের সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করা হবে। উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষাই উন্নয়ন জোর দেওয়া হয় দিনের আলোচনায়। শিক্ষায় পারে সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে। এক ঘন্টা ধরে আলোচনা চলে। আলোচনার মূল বার্তা ছিল কিভাবে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ও সামাজিক ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটবে। মালদায় আবার দুমাস পর আসার কথা জানান আহমেদ হাসান ইমরান। সচেতনতা উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এগিয়ে যেতে হলে পিছিয়ে পড়া অংশকেও নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। হিংসা ও নেগেটিভ মনোভাব দূরে সরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে এলাকা। সমগ্র উন্নয়নের পথে হাঁটতে হবে।