২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের আকাশপথে বোমাতঙ্ক! অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান ইরানি বিমানের পাইলটের

মিজানুর রহমান
  • আপডেট : ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
  • / 7

নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর: ইরানের বিমানে বোমাতঙ্ক! সোমবার ভোরে হুলুস্থুল কাণ্ড মাহান এয়ারের বিমানে। তাও আবার ভারতীয় আকাশসীমায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য বলা হয়।

বোমাতঙ্কের খবর পেয়েই উড়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেট। যাতে আকাশপথে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

 

সূত্রের খবর, যাত্রীবাহী ওই বিমানটি তেহরান থেকে চিনের গুয়াংঝৌ শহরের দিকে যাচ্ছিল। ভারতের আকাশপথে বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট থেকে ২১ হাজার ফুট নীচে নেমে যায়। সেই সময় দিল্লি থেকে ২০০ কিমি পশ্চিমে ছিল বিমানটি। কিছুক্ষণ ঝঞ্ঝা সামলে ফের বিমানটি আগের অবস্থানে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

 

এর পর বাংলাদেশের আকাশপথে ঢুকে পড়ে বিমানটি। শেষপর্যন্ত চিনে উড়ে যায় সেটি। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘৩ অক্টোবর, সোমবার একটি খবর মেলে বোমাতঙ্কের। ইরানি বিমানটির তরফে খবর মেলে। ভারতীয় আকাশপথে ঢোকার পরই এই খবর পাওয়া যায়। তত্‍ক্ষণাত্‍ বায়ুসেনার ফাইটার জেট পাঠানো হয়। সেটি বিমানটিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায় সাহায্য করে। বিমানটিকে বিমানটিকে জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে চণ্ডীগড়ে। কিন্তু পাইলট দুটি এয়ারপোর্টের একটিতেও বিমান নামাতে ইচ্ছুক ছিলেন না।’

 

বায়ুসেনা আরও জানিয়েছে, ‘এর পর তেহরান থেকে নির্দেশ আসে, বোমাতঙ্কের খবর ভুয়ো। যার ফলে বিমানটি ফের গন্তব্যের দিকে চলে যায়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতের আকাশপথে বোমাতঙ্ক! অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান ইরানি বিমানের পাইলটের

আপডেট : ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার

নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর: ইরানের বিমানে বোমাতঙ্ক! সোমবার ভোরে হুলুস্থুল কাণ্ড মাহান এয়ারের বিমানে। তাও আবার ভারতীয় আকাশসীমায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য বলা হয়।

বোমাতঙ্কের খবর পেয়েই উড়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেট। যাতে আকাশপথে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

 

সূত্রের খবর, যাত্রীবাহী ওই বিমানটি তেহরান থেকে চিনের গুয়াংঝৌ শহরের দিকে যাচ্ছিল। ভারতের আকাশপথে বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট থেকে ২১ হাজার ফুট নীচে নেমে যায়। সেই সময় দিল্লি থেকে ২০০ কিমি পশ্চিমে ছিল বিমানটি। কিছুক্ষণ ঝঞ্ঝা সামলে ফের বিমানটি আগের অবস্থানে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

 

এর পর বাংলাদেশের আকাশপথে ঢুকে পড়ে বিমানটি। শেষপর্যন্ত চিনে উড়ে যায় সেটি। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘৩ অক্টোবর, সোমবার একটি খবর মেলে বোমাতঙ্কের। ইরানি বিমানটির তরফে খবর মেলে। ভারতীয় আকাশপথে ঢোকার পরই এই খবর পাওয়া যায়। তত্‍ক্ষণাত্‍ বায়ুসেনার ফাইটার জেট পাঠানো হয়। সেটি বিমানটিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায় সাহায্য করে। বিমানটিকে বিমানটিকে জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে চণ্ডীগড়ে। কিন্তু পাইলট দুটি এয়ারপোর্টের একটিতেও বিমান নামাতে ইচ্ছুক ছিলেন না।’

 

বায়ুসেনা আরও জানিয়েছে, ‘এর পর তেহরান থেকে নির্দেশ আসে, বোমাতঙ্কের খবর ভুয়ো। যার ফলে বিমানটি ফের গন্তব্যের দিকে চলে যায়।