২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করায় বাড়তে পারে বিমান ভাড়া

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 54

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ফলে তারই জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য, দিল্লির আইজিআই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। কিন্তু পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের পর, ভারতে বিমান ভাড়া বাড়বে কিনা এবং ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি কতটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে   । এছাড়া বিমান রুট নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব আগামী কয়েক দিনের মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে কারণ ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ আন্তর্জাতিক বিমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন শিল্পের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিমান সংস্থাগুলির ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং ফলস্বরূপ বিমানের ভাড়া বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: সোনিয়া-রাহুলকে এখনই নোটিস নয়, ত্রুটিমুক্ত নয় ইডির চার্জশিট জানাল আদালত

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করার ফলে পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর আমেরিকার ফ্লাইটগুলোকে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হবে।যেহেতু পাকিস্তান অন্যান্য দেশের বিমান সংস্থাগুলোর বিষয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার চালিয়ে যাবে এবং ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর তুলনায় তাদের সুবিধা বাড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন ভারত বালাকোটে বিমান হামলা চালায়, তখন পাকিস্তানও কয়েক মাসের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা খুলে দেয় এবং তখন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছিল যে, আকাশসীমা বন্ধের কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির মোট ৫৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সেই সময়ে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে, বেশিরভাগ বিমানকে ৭০ থেকে ৮০ মিনিট অতিরিক্ত উড়তে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলোকে জ্বালানি ভরার জন্য ইউরোপে থামতে হয়েছিল। আবার দিল্লি থেকে ইস্তাম্বুলগামী ইন্ডিগোর বিমানগুলোকে জ্বালানি ভরার জন্য দোহায় থামতে হয়েছিল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করায় বাড়তে পারে বিমান ভাড়া

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ফলে তারই জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য, দিল্লির আইজিআই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। কিন্তু পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের পর, ভারতে বিমান ভাড়া বাড়বে কিনা এবং ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি কতটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে   । এছাড়া বিমান রুট নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব আগামী কয়েক দিনের মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে কারণ ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ আন্তর্জাতিক বিমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন শিল্পের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিমান সংস্থাগুলির ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং ফলস্বরূপ বিমানের ভাড়া বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: সোনিয়া-রাহুলকে এখনই নোটিস নয়, ত্রুটিমুক্ত নয় ইডির চার্জশিট জানাল আদালত

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করার ফলে পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর আমেরিকার ফ্লাইটগুলোকে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হবে।যেহেতু পাকিস্তান অন্যান্য দেশের বিমান সংস্থাগুলোর বিষয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার চালিয়ে যাবে এবং ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর তুলনায় তাদের সুবিধা বাড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন ভারত বালাকোটে বিমান হামলা চালায়, তখন পাকিস্তানও কয়েক মাসের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা খুলে দেয় এবং তখন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছিল যে, আকাশসীমা বন্ধের কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির মোট ৫৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সেই সময়ে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে, বেশিরভাগ বিমানকে ৭০ থেকে ৮০ মিনিট অতিরিক্ত উড়তে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলোকে জ্বালানি ভরার জন্য ইউরোপে থামতে হয়েছিল। আবার দিল্লি থেকে ইস্তাম্বুলগামী ইন্ডিগোর বিমানগুলোকে জ্বালানি ভরার জন্য দোহায় থামতে হয়েছিল।