সকল টেট উত্তীর্ণই চাকরি পাবে, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

- আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 18
১। ২১ অক্টোবর থেকে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের আবেদন গ্রহণ।
২। শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগপত্র
৩। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হবে।
৪। প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার আবেদন ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু।
৫। টেটের সিলেবাস ও গাইডলাইন প্রকাশ করবে পর্ষদ
পুবের কলম প্রতিবেদক: মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের দিনই প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি গৌতম পাল বলেন, টেট উত্তীর্ণ কেউ বসে থাকবেন না। সকলেই চাকরি পাবেন। তবে একটু সময় লাগবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারবেন। ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হবে ১৪ অক্টোবর থেকে।
সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে। ২১ অক্টোবর থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করব সবাইকে এ বছরই চাকরি দেওয়ার।
সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাইমারি সহকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, টেট পাশ করা প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাই কেবল এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি পৃথকভাবে বৈঠক করেছি। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের নাম প্যানেলে রয়েছে বা যাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তাঁদের সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে।
গৌতমবাবুর কথায়, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরা আমাকে বারবার বলেছেন, যখনই নিয়োগের কথা ওঠে তখনই ২০১৪ সালের পাশ করাদের তালিকা বের করা হয়। আমি তাঁদের কথা দিয়েছি, যে বছরেই আপনারা টেট পাশ করুন না কেন, এবার নিয়োগের জন্য আবেদন করুন। আমি চাইব এ বছরের মধ্যে তাঁদের আইন মেনে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, ২০২১-২২ সালে সরকারের তরফ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদের কথা বলা হয়। সেই শূন্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু ইস্যু বিচারাধীন রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু বলব না। তবে ২০১৬ সালের রিত্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী, টেট পাশ করা এবং এনসিটিই-এর নিয়োগ মোতাবেক বিএড করা থাকলেই আবেদন করা যাবে।
পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রথম দফায় নিয়োগ হয় ৪২ হাজার ৬২৭ জনের। দ্বিতীয় দফায় ২০২০-২১ সালে নতুন ভ্যাকেন্সি তৈরি করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ১৬ হাজার ৫৬৪ জনকে। ২০১৪ সালের নট-ইনক্লুডেড প্রার্থী ছিলেন ১৬ হাজার ৯০১ জন।
এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আন্দোলন করছেন। তবে তাঁদের অনেকেই বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছেন। একইসঙ্গে নিয়োগের জন্য ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্ষদ সভাপতি বলেন, আবেদন প্রার্থীদের আইন মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেইসঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য বছরে দু’বার নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হবে। পর্ষদ সভাপতি পুনরায় বলেন, টেট পাশ মানেই চাকরি নয়।
একইসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন, স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নিতে আগামী টেট পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্রের ধরন, বুকলেট, সিলেবাস, কীভাবে প্রশ্ন হবে, তার বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
২০১৪ সালের বহু প্রার্থীর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা শেষ হয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এনসিটিইর নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগ হবে। তবে যাঁদের বয়স পার হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।