মারাদোনার স্মৃতি নিয়ে কাতার উড়ান দিচ্ছে আস্ত একটি বিমান
- আপডেট : ২৬ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার
- / 16
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। নামটার সঙ্গে আশির দশকে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের পরিচিতিটা নতুন করে উল্লেখ করার কিছুই নেই। মারাদোনা মানেই মনের কোণে চিকচিক করে ওঠা অজস্র স্মৃতির ভিড়। মারাদোনা মানেই আধুনিক ফুটবলের রূপরেখার সঙ্গে নিজের আত্মার আত্মীয়কে চিনে নেওয়া, মারাদোনা মানেই বিশ্বকাপ, আর মারাদোনা মানেই শিশুর সারল্যের ন্যায় এক মুখ মিস্টি হাসি। সঙ্গে অবশ্যই থাকবে ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ হাতে তাঁকে পরম আদরে ভরিয়ে তোলা। সেই মারাদোনা নেই। সামনেই কাতার বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা অনেক আগেই সেই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনও করে ফেলেছে। কিন্তু আর্জেন্টনা প্রথম কোনও বিশ্বকাপ খেলতে নামছে, যে বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে দেখা যাবে না বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের দেশ আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটা বিশ্বকাপেই স্টেডিয়ামে বসে গলা ফাটিয়েছেন দিয়েগো। কিন্তু এই প্রথমবার কাতারের মাটিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে নামবে, যেখানে থাকবেন না ফুটবল রাজপুত্র। শুধু থাকবে তাঁর স্মৃতিটুকু।
কিন্তু কাতারে মারাদোনা না থাকলেও আকাশ পথে মারাদোনার স্মৃতি বহন করবে একটি আর্জেন্টাইন বিমান। যে বিমানের দুটি ডানায় ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের স্মৃতি বিজড়িত ফাইনালের দুটি গোলের ছবি অঙ্কিত রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে চিরপরিচিত একটি ছবি। যেখানে বিশ্বকাপকে চুম্বন করছেন দিয়েগো মারাদোনা। গোটা বিমানটাই সেই ছবিতে পরিপূর্ণ। আকাশি সাদা দাগের মাঝে গোটা বিমানটিতে মারাদোনা যেন জীবন্ত এক চরিত্র। শুধু তাই নয়, গোটা বিমানটিতে রয়েছে আস্ত একটা ফুটবল মিউজিয়াম। আর পুরো বিমানটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার প্রতি।
আর্জেন্টিনার একটি সংস্থা এই বিমানটির ইন্টিরিয়র ডেকরেশনটি তৈরি করেছে। সংস্থার সিওই জানিয়েছেন, ‘ মারাদানোকে নিয়ে আমি পাগল। আমি সেই দলের মধ্যে পড়ি যারা এখনও মারাদোনার খেলার ভিডিও ক্লিপিংস সারাক্ষণ দেখে থাকে।’ তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, মারাদোনাকে নিয়ে তৈরি এই বিমানটি আমি ডেকরেট করব। আসলে দিয়েগোর প্লেন আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। ১৯৮৬ সালের মারাদোনার সতীর্থরা এটা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন।’ কয়েকদিনের মধ্যেই মারাদোনার ছবি দেওয়া এই বিমান পৌছে যাবে কাতারে। মারাদোনার মেয়ে ডালমা জানিয়েছেন, ‘ ওনার পাগলামো আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আসলে এর মধ্যে আমার পিতার প্রতি ওর কতটা শ্রদ্ধা লুকিয়ে আছে সেটারই বহিপ্রকাশ ঘটেছে।’