১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনে নার্স স্ত্রী সহ ২ নাবালক সন্তানকে খুনের কথা কবুল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার
  • / 4

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ব্রিটেনে স্ত্রী সহ দুই নাবালক সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করলেন স্বামী। বুধবার ৫২ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি এই খুনের কথা কবুল করেন। একবছর আগে হওয়া খুনের ঘটনার কিনার হল এবার।

জানা গেছে, ২০২২ সালে পূর্ব ইংল্যান্ডের নর্থহ্যাম্পটন অঞ্চলের কেটারিং-এ তাদের বাড়ি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হয় অঞ্জু অশোক ও তার দুই নাবালক সন্তানের দেহ।

পেশায় নার্স ছিলেন অঞ্জু। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সাজু চেলাভালেল। খুনের সময় দম্পতির দুই সন্তান জিভা সাজু ও জাহ্নবী সাজুর বয়স ছিল যথাক্রমে ৬ ও ৪ বছর। গত বছরের ডিসেম্বরে এই খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই অঞ্জুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তার দুই সন্তানের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে জানানো হয়, গলায় দড়ি বা কাপড়ের ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে।
অঞ্জুর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সাজু একজন নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।

প্রতিনিয়তই অঞ্জুকে তার স্বামী সাজুর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হত। আগে ওরা সউদি আরবে থাকত। খুব কষ্ট করে নার্সের চাকরি করে দুই নাবালক সন্তানকে মানুষ করে তুলেছিলেন অঞ্জু। কারণ ব্রিটেনে আসার পর সাজুর চাকরি ছিল না। খুব বদমেজাজি মানুষ ছিল সাজু। তবে অঞ্জু কোনওদিন স্বামীর নামে অভিযোগ করত না, সব মুখে বুঝে সহ্য করত। অঞ্জুর সন্তান হওয়ার পর তাদের দেখভালের জন্য যখন তাদের বাড়ি যাই, তখন সাজুর নিষ্ঠুর রূপ সামনে আসে।

অঞ্জু’র মা জানিয়েছিলেন, সাজুর পরিবারের লোকেরা কেউ খারাপ ছিল না। তারা কেরলের কান্নুরে থাকতেন। সবাই তার মেয়ে ও নাতনীদের ভালোবাসতেন। বেঙ্গালুরুতে নার্সিং ট্রেনিং নেওয়ার সময় অঞ্জুর সঙ্গে সাজুর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাজু সেই সময় এক ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করত। দুজনের বিয়েতে আমাদের মত না থাকলেও তারা আপত্তি জানাননি বলে জানিয়েছিলেন। আর্থিক কারণে মেয়ে ও নাতনীদের মৃত্যুর পর তাদের শেষ দেখাও দেখতে পায়নি অঞ্জুর পরিবার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্রিটেনে নার্স স্ত্রী সহ ২ নাবালক সন্তানকে খুনের কথা কবুল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ব্রিটেনে স্ত্রী সহ দুই নাবালক সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করলেন স্বামী। বুধবার ৫২ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি এই খুনের কথা কবুল করেন। একবছর আগে হওয়া খুনের ঘটনার কিনার হল এবার।

জানা গেছে, ২০২২ সালে পূর্ব ইংল্যান্ডের নর্থহ্যাম্পটন অঞ্চলের কেটারিং-এ তাদের বাড়ি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হয় অঞ্জু অশোক ও তার দুই নাবালক সন্তানের দেহ।

পেশায় নার্স ছিলেন অঞ্জু। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সাজু চেলাভালেল। খুনের সময় দম্পতির দুই সন্তান জিভা সাজু ও জাহ্নবী সাজুর বয়স ছিল যথাক্রমে ৬ ও ৪ বছর। গত বছরের ডিসেম্বরে এই খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই অঞ্জুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তার দুই সন্তানের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে জানানো হয়, গলায় দড়ি বা কাপড়ের ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে।
অঞ্জুর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সাজু একজন নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।

প্রতিনিয়তই অঞ্জুকে তার স্বামী সাজুর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হত। আগে ওরা সউদি আরবে থাকত। খুব কষ্ট করে নার্সের চাকরি করে দুই নাবালক সন্তানকে মানুষ করে তুলেছিলেন অঞ্জু। কারণ ব্রিটেনে আসার পর সাজুর চাকরি ছিল না। খুব বদমেজাজি মানুষ ছিল সাজু। তবে অঞ্জু কোনওদিন স্বামীর নামে অভিযোগ করত না, সব মুখে বুঝে সহ্য করত। অঞ্জুর সন্তান হওয়ার পর তাদের দেখভালের জন্য যখন তাদের বাড়ি যাই, তখন সাজুর নিষ্ঠুর রূপ সামনে আসে।

অঞ্জু’র মা জানিয়েছিলেন, সাজুর পরিবারের লোকেরা কেউ খারাপ ছিল না। তারা কেরলের কান্নুরে থাকতেন। সবাই তার মেয়ে ও নাতনীদের ভালোবাসতেন। বেঙ্গালুরুতে নার্সিং ট্রেনিং নেওয়ার সময় অঞ্জুর সঙ্গে সাজুর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাজু সেই সময় এক ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করত। দুজনের বিয়েতে আমাদের মত না থাকলেও তারা আপত্তি জানাননি বলে জানিয়েছিলেন। আর্থিক কারণে মেয়ে ও নাতনীদের মৃত্যুর পর তাদের শেষ দেখাও দেখতে পায়নি অঞ্জুর পরিবার।