আপিল খারিজ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘নিষিদ্ধ’ই থাকল জামায়াতে ইসলামী

- আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
- / 11
১৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে৷ বিরোধীরা এই নির্বাচন তফসিল নিয়ে মোটেও খুশি নয়৷ তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে৷ আমেরিকাও অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য হাসিনা সরকারকে চাপ দিয়ে চলেছে৷ তবে আওয়ামী লিগ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা কারও তোয়াক্কা করে না৷ কারও চোখরাঙানি সহ্য করবে না৷ তাদের দৃঢ় মনোভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার মধ্যে দিয়ে৷ বাংলাদেশে বিরোধী দল বলতে বিএনপিকেই বোঝায়৷ জামায়াতে ইসলামীরও ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে৷ জামায়াত যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তবে আওয়ামী লিগের সমস্যা হতে পারে৷ তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিএনপি এই নির্বাচন বয়কট করুক এটাই চাইছে হাসিনার দল৷ আর জামায়াতকে তো রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ করাই হয়েছে৷ রবিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল।
এদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল বহাল থাকবে। আজ একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনসহ পৃথক দুটি আবেদনের ওপরেও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শেষ রিট আবেদনটিতে জামায়াতের নাম বা ব্যানার ব্যবহার করে সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। যেহেতু জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তাই আদালত এই ২ আবেদন গ্রহণ করেনি। এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়।