১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তামিলনাড়ুতে মরসুমের প্রথম জাল্লিকাট্টুতেই আহত কমপক্ষে ২২ জন  

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৮ জানুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 2

 

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তামিলনাড়ুর পুদুকোট্টাই জেলায় মরসুমের প্রথম জাল্লিকাট্টুতেই  কমপক্ষে ২২  জন আহত হয়েছেন।পুদুকোট্টাই জেলার থাচানকুরিচি গ্রামে আয়োজিত  এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫০টি ষাঁড় এবং ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।  প্রাথমিকভাবে চলতি  মাসের ৬  তারিখে নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকা না মেনে চলার কারণে জেলা কালেক্টর কবিতা রামু স্থগিত করার নির্দেশ দেন।  তামিলনাড়ু সরকার জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা দর্শকদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ডবল ব্যারিকেড করা, পশুচিকিৎসদের  দ্বারা জালিকাট্টুতে অংশ নেওয়া ষাঁড়ের সার্বিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে।কোন অসুস্থ ষাঁড়কে জাল্লিকাট্টুতে অংশগ্রহণ করানো যাবেনা।    এছাড়াও জাল্লিকাট্টুতে যারা অংশনেবেন সেই ব্যক্তিদের করোনার দুটি ডোজ টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দাখিল করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় জাল্লিকাট্টুর অনুষ্ঠানটি ১৭  জানুয়ারি মাদুরাই জেলার আলঙ্গানাল্লুরে অনুষ্ঠিত হবে। ফসল কাটার উৎসব পোঙ্গল উপলক্ষে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে এই অনুষ্ঠান হয়। তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী এই খেলা ‘মাঞ্জু বিরাত্তু’ নামেও পরিচিত। শোনা যায় খেলাটি প্রায় ২৫০০ বছরের প্রাচীন।

জাল্লিকাট্টু বা এরুতাজুবাল অথবা ‘মাঞ্জু বিরাত্তু’, হল তামিল জাতির প্রাচীন পরম্পরাগত একটি খেলা।  যেখানে একটি ষাঁড়কে তার শিং ধরে কাবু করতে হয়। জাল্লিকাট্টু শব্দটি এসেছে চাল্লি ক্চু ও কাট্টু থেকে। ষাঁড়ের সিংয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় বহুমূল্য সোনা, রুপো বা  দামী রত্ন।ষাঁড়কে বেকাদায় ফেলতে পারলে সেই সোনা, রুপো সব ওই ব্যক্তির।

 

স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় বা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’-এর মতোই অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘জাল্লিকাট্টু’। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ করা হয় এই খেলা। জাল্লিকাট্টু বন্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার সংস্থা এবং  পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস সরব হয়েছে।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তামিলনাড়ুতে মরসুমের প্রথম জাল্লিকাট্টুতেই আহত কমপক্ষে ২২ জন  

আপডেট : ৮ জানুয়ারী ২০২৩, রবিবার

 

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তামিলনাড়ুর পুদুকোট্টাই জেলায় মরসুমের প্রথম জাল্লিকাট্টুতেই  কমপক্ষে ২২  জন আহত হয়েছেন।পুদুকোট্টাই জেলার থাচানকুরিচি গ্রামে আয়োজিত  এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫০টি ষাঁড় এবং ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।  প্রাথমিকভাবে চলতি  মাসের ৬  তারিখে নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকা না মেনে চলার কারণে জেলা কালেক্টর কবিতা রামু স্থগিত করার নির্দেশ দেন।  তামিলনাড়ু সরকার জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা দর্শকদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ডবল ব্যারিকেড করা, পশুচিকিৎসদের  দ্বারা জালিকাট্টুতে অংশ নেওয়া ষাঁড়ের সার্বিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে।কোন অসুস্থ ষাঁড়কে জাল্লিকাট্টুতে অংশগ্রহণ করানো যাবেনা।    এছাড়াও জাল্লিকাট্টুতে যারা অংশনেবেন সেই ব্যক্তিদের করোনার দুটি ডোজ টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দাখিল করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় জাল্লিকাট্টুর অনুষ্ঠানটি ১৭  জানুয়ারি মাদুরাই জেলার আলঙ্গানাল্লুরে অনুষ্ঠিত হবে। ফসল কাটার উৎসব পোঙ্গল উপলক্ষে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে এই অনুষ্ঠান হয়। তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী এই খেলা ‘মাঞ্জু বিরাত্তু’ নামেও পরিচিত। শোনা যায় খেলাটি প্রায় ২৫০০ বছরের প্রাচীন।

জাল্লিকাট্টু বা এরুতাজুবাল অথবা ‘মাঞ্জু বিরাত্তু’, হল তামিল জাতির প্রাচীন পরম্পরাগত একটি খেলা।  যেখানে একটি ষাঁড়কে তার শিং ধরে কাবু করতে হয়। জাল্লিকাট্টু শব্দটি এসেছে চাল্লি ক্চু ও কাট্টু থেকে। ষাঁড়ের সিংয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় বহুমূল্য সোনা, রুপো বা  দামী রত্ন।ষাঁড়কে বেকাদায় ফেলতে পারলে সেই সোনা, রুপো সব ওই ব্যক্তির।

 

স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় বা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’-এর মতোই অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘জাল্লিকাট্টু’। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ করা হয় এই খেলা। জাল্লিকাট্টু বন্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার সংস্থা এবং  পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস সরব হয়েছে।