০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমযানের তৃতীয় জুম্মাও বানচালের চেষ্টা আল-আকসায় গুলি, কাঁদানে গ্যাস, সেনা হামলায় আহত ৩১

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 16

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রমযানের প্রথম জুম্মা নির্বিঘ্নে পালিত হলেও দ্বিতীয় জুম্মার দিন ভোর থেকে শুরু হয়েছিল ইসরাইলের সেনাদের হামলা। ১৫০ জনের বেশি মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর তৃতীয় জুম্মাতেও ফজরের সময় আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করে ইসরাইলের সেনা। রমযানের শেষ ১০ দিন উপলক্ষ্যে জুমার আগের রাত থেকে ফিলিস্তিনিরা ইবাদাতের জন্য এসেছেন মসজিদে। কিন্তু সেহরির পর ফজর নামাযের শেষ হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনারা। রাবার বুলেট কাঁদানে গ্যাস ও গ্রেনেড ছুঁড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিতে চায় মুসল্লিদের জমায়েত। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে মোট ৩১ জন আহত হয়েছে শুক্রবার সকালের আক্রমণে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা গুরুতর। রাবার বুলেটের আঘাতে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কাঁদানে গ্যাসে অনেকের অবস্থা শোচনীয়।

রমযানের তৃতীয় জুম্মাও বানচালের চেষ্টা আল-আকসায় গুলি, কাঁদানে গ্যাস, সেনা হামলায় আহত ৩১
গত সপ্তাহে মসজিদুল আকসায় ইসরাইল সেনাদের হঠাৎ আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানায় বিভিন্ন দেশ। সউদি আরব, আরব আমীরাত, ইরান, তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশ কঠোর নিন্দা জানায় ইসরাইলের এই আক্রমণের। কিন্তু তৃতীয় জুম্মাতেও সেই একইভাবে আক্রমণের ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই। প্যালেস্টাইন অথরিটির প্রধান মাহমুদ আব্বাস আমেরিকার কাছে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে হামলা দখলদার ইসরাইলের

ফিলিস্তিনিদের সংগঠন হামাস এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক দুনিয়ার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকার কথা বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন নিয়ে তারা কখনোই ইসরাইলের নিন্দা করতে শেখেনি। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মুখপাত্র তারিক সালমি জানিয়েছেন, ইসরাইল শুধু বোঝে প্রত্যাঘাতের ভাষা। সেই ভাষাতেই জবাব দিতে হবে তাদের। শহিদ বানিয়েও ওরা আমাদের দমাতে পারবে না। উল্লেখ্য, গতবছর রমযানে ইসরাইলের সেনারা মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন হামাস।

আরও পড়ুন: ইসরাইলে যাওয়া আসা সমস্ত সমস্ত ফ্লাইট ৮ মে পর্যন্ত বাতিল করলো এয়ার ইন্ডিয়া

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি অবরোধে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে গাজার ২,৯০,০০০ শিশু

 

১০ দিন ধরে চলে সেই লড়াই। রমযানের শেষ জুম্মা ফিলিস্তিনিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলবিদা জুমাকে রাষ্ট্রসংঘ আল-কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেদিন আল- আকসা মসজিদ ইসরাইলের কবজা থেকে উদ্ধারের জন্য নতুন করে শপথ নেয় বিশ্বের মুসলমানরা। সেই আল-কুদস দিবস বানচাল করার লক্ষ্যেই ইসরাইলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই। সকাল থেকেই সেনাদের বাড়াবাড়ি উপেক্ষা করেও জুম্মার নামাযে সামিল হতে এগিয়ে আসছেন হাজার হাজার মুসল্লি। ফিলিস্তিনি ছাড়াও বাইরের দেশ থেকে বহু মানুষ এই মসজিদে নামাযের জন্য জমায়েত হন। ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরাইল এই মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। সেখানে গেটে প্রহরা ও মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিরস্ত্র মুসল্লিদের উপর চড়াও হচ্ছে সেনারা।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমযানের তৃতীয় জুম্মাও বানচালের চেষ্টা আল-আকসায় গুলি, কাঁদানে গ্যাস, সেনা হামলায় আহত ৩১

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রমযানের প্রথম জুম্মা নির্বিঘ্নে পালিত হলেও দ্বিতীয় জুম্মার দিন ভোর থেকে শুরু হয়েছিল ইসরাইলের সেনাদের হামলা। ১৫০ জনের বেশি মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর তৃতীয় জুম্মাতেও ফজরের সময় আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করে ইসরাইলের সেনা। রমযানের শেষ ১০ দিন উপলক্ষ্যে জুমার আগের রাত থেকে ফিলিস্তিনিরা ইবাদাতের জন্য এসেছেন মসজিদে। কিন্তু সেহরির পর ফজর নামাযের শেষ হতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনারা। রাবার বুলেট কাঁদানে গ্যাস ও গ্রেনেড ছুঁড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিতে চায় মুসল্লিদের জমায়েত। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে মোট ৩১ জন আহত হয়েছে শুক্রবার সকালের আক্রমণে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা গুরুতর। রাবার বুলেটের আঘাতে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কাঁদানে গ্যাসে অনেকের অবস্থা শোচনীয়।

রমযানের তৃতীয় জুম্মাও বানচালের চেষ্টা আল-আকসায় গুলি, কাঁদানে গ্যাস, সেনা হামলায় আহত ৩১
গত সপ্তাহে মসজিদুল আকসায় ইসরাইল সেনাদের হঠাৎ আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানায় বিভিন্ন দেশ। সউদি আরব, আরব আমীরাত, ইরান, তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশ কঠোর নিন্দা জানায় ইসরাইলের এই আক্রমণের। কিন্তু তৃতীয় জুম্মাতেও সেই একইভাবে আক্রমণের ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই। প্যালেস্টাইন অথরিটির প্রধান মাহমুদ আব্বাস আমেরিকার কাছে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে হামলা দখলদার ইসরাইলের

ফিলিস্তিনিদের সংগঠন হামাস এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক দুনিয়ার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকার কথা বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন নিয়ে তারা কখনোই ইসরাইলের নিন্দা করতে শেখেনি। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের মুখপাত্র তারিক সালমি জানিয়েছেন, ইসরাইল শুধু বোঝে প্রত্যাঘাতের ভাষা। সেই ভাষাতেই জবাব দিতে হবে তাদের। শহিদ বানিয়েও ওরা আমাদের দমাতে পারবে না। উল্লেখ্য, গতবছর রমযানে ইসরাইলের সেনারা মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন হামাস।

আরও পড়ুন: ইসরাইলে যাওয়া আসা সমস্ত সমস্ত ফ্লাইট ৮ মে পর্যন্ত বাতিল করলো এয়ার ইন্ডিয়া

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি অবরোধে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে গাজার ২,৯০,০০০ শিশু

 

১০ দিন ধরে চলে সেই লড়াই। রমযানের শেষ জুম্মা ফিলিস্তিনিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলবিদা জুমাকে রাষ্ট্রসংঘ আল-কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেদিন আল- আকসা মসজিদ ইসরাইলের কবজা থেকে উদ্ধারের জন্য নতুন করে শপথ নেয় বিশ্বের মুসলমানরা। সেই আল-কুদস দিবস বানচাল করার লক্ষ্যেই ইসরাইলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই। সকাল থেকেই সেনাদের বাড়াবাড়ি উপেক্ষা করেও জুম্মার নামাযে সামিল হতে এগিয়ে আসছেন হাজার হাজার মুসল্লি। ফিলিস্তিনি ছাড়াও বাইরের দেশ থেকে বহু মানুষ এই মসজিদে নামাযের জন্য জমায়েত হন। ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরাইল এই মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। সেখানে গেটে প্রহরা ও মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিরস্ত্র মুসল্লিদের উপর চড়াও হচ্ছে সেনারা।