১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে জম্মু-শ্রীনগর রুট, মেঘের ওপর দিয়ে চলবে এই ট্রেন!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 20

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার আর কয়েক মাস মাত্র। এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে জম্মু-শ্রীনগর রুট। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই ছুটবে এই ট্রেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের মধ্যে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর ভ্রমণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কথা নিশ্চিত করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর উপত্যকার তাপমাত্রা ও তুষারপাতের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হবে বন্দে ভারত ট্রেনের। এই ট্রেন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত ট্রেনটি ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে বৈষ্ণো দেবী, জম্মু ও জম্মু প্রদেশের কাটরা রুটে চলে। উধমপুর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে শুরু হয়ে গেলে বন্দে ভারত ট্রেনটি জম্মু ও শ্রীনগরের মধ্যে চালানো হবে বলে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি এই যাত্রাপথে ট্রেনটি বিশ্বের সর্বোচ্চ আর্চ ও চেনাব রেল ব্রিজ অতিক্রম করবে। এই চেনাব সেতুর উচ্চতা এক হাজার ফুটের বেশি এবং এটি ১৩৫১ মিটার দীর্ঘ।

উল্লেখ্য, রিয়াসি জেলার চেনাব নদীর উপর পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুর কাজ চলছে। এই রেললাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে জম্মু-শ্রীনগরের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমে দাঁড়াবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সাধারণ মানুষ তো বটেই পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই ট্রেন। এর একমাত্র কারণ হল পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুটি। এই প্রথম মেঘের ওপর দিয়ে চলবে বন্দে ভারত ট্রেন।

বর্তমানে, কাশ্মীর উপত্যকায় রেলপথ চালু থাকলেও উপত্যকাটি এখনও দেশের প্রধান অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এটি এখনও রেললাইনের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।

সড়কপথই এখানে যাতায়াতের মূল মাধ্যম। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বা ধস নামলে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সমস্যায় পড়েন আমজনতা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরাও। ট্রেন চালু হলে সেই সমস্যাটা অনেকটা লঘু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়াও অল্প সময়ে গন্তব্যে গিয়ে আবারও নিজের স্থানে ফিরে আসতে পারবেন আম জনতা। এই রেললাইন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আপেল এবং কাশ্মীরের অন্যান্য কৃষি পণ্য সহজেই দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সুরক্ষিতভাবে ও অল্প সময়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে ।

বিলাসবহুল পরিষেবা এবং দ্রুত গতির কারণে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। স্বয়ংক্রিয় গেট, এসি কোচ, অনবোর্ড ওয়াই-ফাই এর মতো অনেক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এই ট্রেন। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। যদিও বর্তমানে ট্রেনটি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার বেশি দ্রুত ছোটে না।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে জম্মু-শ্রীনগর রুট, মেঘের ওপর দিয়ে চলবে এই ট্রেন!

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার আর কয়েক মাস মাত্র। এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে জম্মু-শ্রীনগর রুট। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই ছুটবে এই ট্রেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের মধ্যে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর ভ্রমণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কথা নিশ্চিত করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর উপত্যকার তাপমাত্রা ও তুষারপাতের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হবে বন্দে ভারত ট্রেনের। এই ট্রেন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত ট্রেনটি ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে বৈষ্ণো দেবী, জম্মু ও জম্মু প্রদেশের কাটরা রুটে চলে। উধমপুর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে শুরু হয়ে গেলে বন্দে ভারত ট্রেনটি জম্মু ও শ্রীনগরের মধ্যে চালানো হবে বলে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি এই যাত্রাপথে ট্রেনটি বিশ্বের সর্বোচ্চ আর্চ ও চেনাব রেল ব্রিজ অতিক্রম করবে। এই চেনাব সেতুর উচ্চতা এক হাজার ফুটের বেশি এবং এটি ১৩৫১ মিটার দীর্ঘ।

উল্লেখ্য, রিয়াসি জেলার চেনাব নদীর উপর পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুর কাজ চলছে। এই রেললাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে জম্মু-শ্রীনগরের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমে দাঁড়াবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সাধারণ মানুষ তো বটেই পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই ট্রেন। এর একমাত্র কারণ হল পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুটি। এই প্রথম মেঘের ওপর দিয়ে চলবে বন্দে ভারত ট্রেন।

বর্তমানে, কাশ্মীর উপত্যকায় রেলপথ চালু থাকলেও উপত্যকাটি এখনও দেশের প্রধান অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এটি এখনও রেললাইনের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।

সড়কপথই এখানে যাতায়াতের মূল মাধ্যম। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বা ধস নামলে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সমস্যায় পড়েন আমজনতা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরাও। ট্রেন চালু হলে সেই সমস্যাটা অনেকটা লঘু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়াও অল্প সময়ে গন্তব্যে গিয়ে আবারও নিজের স্থানে ফিরে আসতে পারবেন আম জনতা। এই রেললাইন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আপেল এবং কাশ্মীরের অন্যান্য কৃষি পণ্য সহজেই দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সুরক্ষিতভাবে ও অল্প সময়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে ।

বিলাসবহুল পরিষেবা এবং দ্রুত গতির কারণে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। স্বয়ংক্রিয় গেট, এসি কোচ, অনবোর্ড ওয়াই-ফাই এর মতো অনেক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এই ট্রেন। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। যদিও বর্তমানে ট্রেনটি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার বেশি দ্রুত ছোটে না।