মধুছন্দা চক্রবর্তী: বিনিয়োগের নিরিখে পরিমাণগত এবং গুণগত নিরিখে তাৎপর্যপূর্ণ অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। একদিকে ২০২৫ সালের বাণিজ্য সম্মেলনে এসেছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৯৫ কোটির লগ্নির প্রস্তাব। যা গতবারের তুলনায় (৩.৭৬ লক্ষ কোটি) বেশ খানিকটা বেশি। অন্যদিকে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন দেশের ক্যাপ্টেন অফ দ্য ক্যাপ্টেন শিল্পপতিরা। এছাড়াও মাঝারি ও ছোট শিল্পপতিরা বাংলায় শিল্পস্থাপনে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। পাঁচ হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারী যোগ দিয়েছেন।
২১২ টি মউ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে পর্যটন, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প, কারিগরি শিক্ষা, ক্রীড়া দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার। বাংলায় আরও বেশি কর্মসংস্থান এবং নতুন শিল্পস্থাপনের আশা জাগিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর সরকার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দিশা দেখিয়েছে। রাজ্যের ১.৭২ কোটি মানুষকে দারিদ্র সীমার থেকে উর্দ্ধে এনেছে। বাংলাই এখন বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। কারণ এখানে ভাগাভাগির রাজনীতি হয় না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রয়েছে। মমতা বলেন, মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদুয়ারা –আমরা সবাইকে নিয়ে চলি। তাঁর কথায়, বাংলাই শিল্পের জন্য সেফেস্ট এবং স্মার্টেস্ট জায়গা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে এসেছিলেন ৪০ টি দেশের প্রতিনিধি। এর মধ্যে জার্মান, জাপান, চিলি, নরওয়ে, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড, ইত্যাদি ২০ টি দেশ পার্টনার দেশ হিসেবে যোগ দিয়েছে। এছাড়া মুকেশ আম্বানি এবং সজ্জন জিন্দালের মতো শীর্ষ শিল্পপতিরা যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বাংলার জন্য অনেক কিছু করতে চান। মমতা বলেন, সেকথা আমাকে আলাদা আলাদা করে জানিয়েছেন মুকেশজি ও জিন্দালজি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকেই দেওচা পাঁচামী কয়লাখনির কাজ শুরু হয়েছে। অশোকনগরে তেল উত্তোলনে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশন (ওএনজিসি) -এর প্রকল্পের জন্য ১৫ একর জমি দিয়েছে রাজ্য। খুব শিগগির সেখানে কাজ শুরু হবে। এইভাবে ভারতের পেট্রোলিয়াম মানচিত্রেও জায়গা করে নিতে চলেছে বাংলা।