জেইই মেইনের ফলে ১০০ পেয়ে তালিকার শীর্ষে বাংলার অর্চিষ্মান এবং দেবদত্তা

- আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
- / 5
জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (জেইই-মেইন)-এর ফলাফল প্রকাশ করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। শনিবার সকালে অফিশিয়াল পোর্টাল jeemain.nta.nic.in এ সেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী ফুল মার্কস অর্থাৎ ১০০-তে ১০০ পেয়েছেন। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেই দেখা যাবে ‘অ্যানসার কি’। ১০০ পেয়ে যাঁরা প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
এই পরীক্ষার ফলে ২৪ জন পড়ুয়া ১০০ পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৭ জন রাজস্থানের। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানার তিনজন করে পড়ুয়া রয়েছে তালিকায়। জানা গিয়েছে, মোট ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪০ পড়ুয়া জেইই মেইনস-এর জন্য রেজিস্টার করেছিল। তার মধ্যে পরীক্ষা দেয় ৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৫০ জন।
সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় শীর্ষে রয়েছেন দেবদত্তা মাজি ও সাই মানোগনা গুথিকোন্ডা। দেবদত্তা পশ্চিমবঙ্গের ও সাই মানোগনা অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। শীর্ষে থাকা ২৪ জনের সকলেই ১০০ নম্বর মার্কস পেয়েছে। মুহাম্মদ আনাস, আয়ুষ সিংহল, অর্চিষ্মান নন্দী, দেবদত্তা মাজি, আয়ুষ রবি চৌধুরি, লক্ষ্য শর্মা, কুশাগ্র গুপ্ত, হর্ষ এ গুপ্তা, আদিত প্রকাশ ভাগাড়ে, দক্ষ, হর্ষ ঝা, রাজিত গুপ্তা, শ্রেয়স লোহিয়া, সাকশম জিন্দাল, সৌরভ, ভাংগালা অজয় রেড্ডি, সানিধ্য সরফ, বিষাদ জৈন, অর্ণব সিং, শিবেন বিকাশ তোষনিওয়াল, কুশাগ্র বাইনাঘা, সাই মানোগনা গুথিকোন্ডা, ওম প্রকাশ বাহেরা ও বাণীব্রত মাজি।
মেধাতালিকার শীর্ষে অর্চিষ্মান এবং দেবদত্তা। মেধাতালিকায় নাম থাকা দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ১০০ পার্সেন্টাইল। এ ছাড়াও মোট ২৪ জন সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন। তবে বর্ধমানের মেয়ে দেবদত্তা এবারও সবার নজর কেড়ে নিলেন। কারণ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তিনি প্রথম হয়েছিলেন। এবারও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মেধাতালিকায় নাম আছে দেবদত্তা মাঝির। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অর্চিষ্মান নন্দী এবং দেবদত্তা মাঝিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই।
ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (বিই) এবং ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) কোর্সে ভর্তির জন্য নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই সংক্রান্ত বৈঠক নিয়ে থাকে। সেইমতো এই বছরও প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। দুই সেশনে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
প্রথম সেশনে পরীক্ষা হয় বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে। এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষা হয়। সর্বভারতীয় ভাবে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রায় ৯ লাখেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় বসেন।