শেষ মুহুর্তে বাজওয়ার চাপেই কি বেসামাল ইমরান?

- আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, রবিবার
- / 6
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তখনও অনাস্থা হতে কয়েকঘন্টা বাকি ছিল। ইমরানকে গদিচ্যুত করার কথা একপ্রকার পাকা। ষড়যন্ত্রের কথা কেউ স্বীকার করছিলেন না। সূত্রের খবর, তখন নাকি মোক্ষম ভুল করে বসেন ইমরান খান নিজেই। তার রান আউট হওয়ার পিছনে নাকি সেটাও কম দায়ী নয়। ইমরানই নাকি সেনাপ্রধান বাজওয়াকেই সরাতে চাইছিলেন। আর তা করতে গিয়ে বাধে মহা ঝামেলা।
সূত্রের খবর শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ ইমরান ঠিক করেন আর বাজওয়াকে সেনাপ্রধান হিসাবে রাখা যাবে না। বাজওয়াকে সরাতে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রকে নোটিশ দেন । তার জায়গায় ইমরান বসাতে চেয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইয়াজ আহমদ হামিদকে। কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে তা যাবে আইনমন্ত্রকে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর হাত হয়ে এই নোটিশ পাক প্রেসিডেন্টের হাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা ঠিক জায়গায় যায়নি। তার আগেই জেনারেল বাজওয়ার হাতে পড়ে এই নোটিশ । তা আর আইনমন্ত্রক পর্যন্ত যায়নি। যে সিকিউরিটির হাতে এই নোটিশ ছিল, সেই নাকি তা বাজওয়ার হাতে তুলে দেয়।
সূত্রের খবর রাত ৯ টা নাগাদ ইমরানের বাড়িতে সেনাপ্রধান বাজওয়া এবং আইএসআই প্রধান নাদিম আনজুম ইমরান খানের বাড়ি পৌঁছান। ইমরান হকচকিয়ে যান। তিনি মনে করেছিলেন নয়া সেনাপ্রধান আসবেন। কিন্তু বাজওয়াকে দেখে ইমরান বুঝে যান ‘ডাল মে কালা বহুত’ ।
কমপক্ষে ৩৬ টি মিলিটারি ভ্যান দাঁড়িয়েছিল ইমরান খনির বাড়ির সামনে। তখন খোলা ছিল হাইকোর্ট ও নির্বাচন কমিশন। বিদেশি তহবিল নিয়ে মামলা করতে পারত কমিশন। বাজওয়া বলেন, তারা চাইলে তাঁর গোটা ক্যাবিনেটকে ফরেন ফান্ড মামলায় গ্রেফতার করতে পারে। তখনই ইমরান খান অনাস্থা ভোট শুরু করতে নির্দেশ দেন। একপ্রকার ভয় দেখিয়ে তাঁকে এই অনাস্থা ভোট আদায় করা হয় বলে বলছে সূত্র। স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, তাঁর পক্ষে এই অনাস্থা ভোট নেওয়া সম্ভব নয়। তড়িঘড়ি ইস্তফা দেন তিনি।
ইমরান যদি রাজি না হতেন তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারত। প্রিজন ভ্যানও দাঁড়িয়েছিল ইমরানের বাস ভবনের সামনে। সব রেডি ছিল। ইমরান অনাস্থা ভোটের নির্দেশ না দিলে ইসলামাবাদ কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে ফরেন ফান্ড মামলা শুরু করে দেওয়া হত। গ্রেফতার করা হত তাঁকে। সূত্রের খবর শেষ পর্যন্ত নাকি ক্ষমা চেয়ে ব্যাপারটি সামাল দেন ইমরান।