ভাঙড়ে পঞ্চায়েত প্রার্থীর জয় কে মেনে নিল রাজ্য

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 4
পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ভাঙড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন বড়সড় আইনী জয় পেল আইএসএফ নেতৃত্ব। তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করার অভিযোগে ভাঙড়ের বিডিও-র বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ। আইএসএফের ওই অভিযোগ মেনে নিয়ে মঙ্গলবার আদালতে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে নিল রাজ্য। এই ঘটনাটি ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ‘মামলাকারী আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দারের অভিযোগ সঠিক। নিজের ভুল শুধরে নিয়ে নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করেছেন বিডিও।’
আইএসএফের বিজয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার হাইকোর্ট কে জানান, ‘এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী আখেদ আলী মোল্লা ৩৮৭টি ভোট পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৯৫টি ভোট। বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে বিডিও আমার হাতে শংসাপত্রও তুলে দিয়েছিলেন। সেই বিডিওই আবার পরে গেজেট নোটফিকেশন প্রকাশ করে তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীর নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।’
আরও অভিযোগ, ‘শাসকদল তৃণমূলের চাপেই বিডিও এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন। সেকারণে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড গঠনের জন্য প্রথম মিটিংয়ে বিজয়ীর পরিবর্তে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে ডেকে পাঠিয়েছেন বিডিও’। এরই প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী। ওই মামলাতেই এদিন আদালতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে বসিরুদ্দিনকেই ফের জয়ী ঘোষণা করেছে রাজ্য। এরপরই মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। বেশ কয়েকটি এলাকায় বিডিওদের বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে ভোটে বেনিয়মের অভিযোগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বিডিও এবং এসডিওকে সাসপেন্ড করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন রাজ্য ভূল স্বীকার করে ওই অভিযুক্ত বিডিও কে একপ্রকার বাঁচালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।