বাংলায় ঢুকে কুড়িটি অসহায় দিনমজুর পরিবারের ঝুপড়ি ভাঙার অভিযোগ বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে

- আপডেট : ২১ মে ২০২২, শনিবার
- / 2
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁচলঃ বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিহার পুলিশের একটি দল মাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালালো কুড়িটি ঝুপড়িতে। ঝুপড়িগুলি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-বিহার সীমান্তবর্তী সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের সহরাবহরা মৌজা এলাকায় পাকা রাস্তার ধারে অবস্থিত ছিল।
রাস্তার ধারে বসবাস করা অসহায় কুড়িটি দিনমজুর পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারগুলিকে ব্যাপক মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে , রাস্তার ধারে সমস্ত জমি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের দখলে রয়েছে। কিন্তু সেই জমির সামনে বহু বছর ধরে এই পরিবার গুলি বসবাস করছিল। তাদের সরাতে এই পরিকল্পনা বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় কুমেদপুর ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে। গোটা ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি সুর চড়িয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও। সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার সহরাবহরা মৌজা সাদলীচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। রাজ্য সড়কের ধারে প্রায় কুড়িটি ভূমিহীন পরিবার ৭০ বছর ধরে বসবাস করছে। এদের নিজস্ব কোন জমি-জমাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে সরকারি জমিতে রাস্তার ধারে কুঁড়ে ঘর বানিয়ে জীবন যাপন করছিল। কিন্তু তাদের বাড়িগুলির পিছনে থাকা এলাকার তৃণমূল নেতা গণেশ প্রামানিক মাঝে-মাঝেই হুমকি দিত এদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য।
কারণ এই বাড়িগুলির পিছনে ছিল গণেশ প্রামাণিকের জমি। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা লেগে রয়েছে। গণেশের বিহারে যাওয়া আসা ছিল। সেই সূত্রেই বেশ কিছু পুলিশকর্মীর সঙ্গে তার আলাপ হয়ে যায়।
তাদেরকেই কাজে লাগিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ওই দরিদ্র পরিবার গুলির উপর আক্রমণ চালায়। জেসিবি লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয় কুঁড়েঘর গুলি।
সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওইটা বিহার পুলিশের ব্যাপার। এটাতে তার কিছু করার নেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের কাটিহার জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে বিহারের গৌরিপুর মৌজা এলাকায় অভিযান চালায় বিহার পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযান চালানো জায়গাটি আসলে বিহারের না বাংলার এই নিয়ে মালদা জেলাপ্রশাসনকে খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় নথি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস।