বিশ্বে কম দামে প্রতিষেধক সরবরাহের জন্য ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির প্রশংসায় – বিল গেটস

- আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
- / 13
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং সমাজসেবী ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভারতের প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির প্রশংসা করে বলেছেন এরা সবচেয়ে কম দামে টিকা তৈরি করে বিশ্বে সরবরাহ করেছেন। ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত ভারত মার্কিন অংশিদারী নিয়ে এক রাউন্ড টেবল আলোচনায় তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে মঙ্গলবার বিল গেটস বলেন ভারত কোভিডের ১৫০ মিলিয়ন ডোজ প্রতিষেধক তৈরি করে গতবছর প্রায় ১০০টি দেশে সরবরাহ করেছে। তিনি বলেন এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ শিশুদের নিউমোনিয়া এবং রোটা ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচাতে টিকা তৈরি করছে। এর জন্যও কৃতিত্ব প্রাপ্য ভারতের। বহু দশক ধরে এই দু’টি রোগে বহু শিশু মারা যাচ্ছে। এই রাউন্ড টেবল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করে অংশিদারির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম দামে টিকা সরবরাহকে উৎসাহ দিতে।
বিল গেটস বলেন এখনও অতিমারির প্রকোপ শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আপৎকালীন অবস্থার সঙ্গে যুঝতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অতিমারির প্রাদুর্ভাবের ফলে যাতে কিছু ব্যবস্থা নষ্ট না হয় তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যাতে উন্নত হয় তার জন্য ভারত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাবে। নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার করবে যাতে বিশ্বজুড়ে মানুষের কল্যাণ হয়। এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে ভারতে আমেরিকা বাণিজ্যিক অংশিদারির অবদানও থাকবে।
গেটস বলেন কোভ্যাকসিন করবাভেক্স এবং কোভিশিল্ড এই তিনটি প্রতিষেধক অংশিদারিকে আরও শক্তিশালী করেছে যা কোনও বিশেষ দেশের সীমানার মধ্যে আবদ্ধ নয়। কোয়াড দেশের অংশিদারির ফলে বায়ো ই-প্রতিষেধক তৈরি হবে এক বিলিয়নের বেশি। ভারত আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মিলিত জোট কোয়াডের অংশিদারির এটা একটা বড় উপলব্ধি। হঠাৎ করে কোভিডের প্রকোপ কমে যাওয়ায় চিন্তিত বিল গেটস বলেন হয়তো ফের একবার বিশ্বকে অতিমারির প্রকোপ সহ্য করতে হতে পারে। তাই বিশ্বের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এই উদ্যোগে আরও বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিল গেটস। তিনি বলেন আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে কিন্তু আমরা এটা জানি আজকে এইসব উদ্যোগে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে যে কোনও বিপদের সময় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে সবার কাছে।