সফিকুল ইসলাম (দুলাল), বর্ধমান: ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কেন্দ্রের সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সেই সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এরû তীব্র বিরোধিতা করছে। রাজ্য সরকার মুসলমানদের কবরস্থান সংরক্ষরণের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ব্যবস্থা করেছে। তবে জামালপুরে দেখা গেল কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে কিছু মানুষ। এ নিয়ে স্থানীয় মুসলমানরা আতঙ্কে আছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টেঙ্গাবেড়িয়া গ্রামের মুসলিম জনসাধারণের ব্যবহৃত কবরস্থান (দাগ নং ৪৪৬, মৌজা দোগাছিয়া, জেএল নং ১০৫) নিয়ে সম্প্রতি জটিলতা তৈরি হয়েছে। ২০১৬ সালে এই কবরস্থানটি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী এটি মুসলিম জনসাধারণের প্রার্থনার স্থান হিসেবে চিহ্নিত।
রাজ্য সরকারের মাইনরিটি এবং মাদ্রাসা দফতর থেকে বরাদ্দকৃত অর্থে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও, সম্প্রতি কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এবং স্থানীয় কিছু দুস্কূতীর বিরোধিতায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজ বন্ধ হওয়ার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন কবরস্থানে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের সেই জমি থেকে সরে যেতে বলা হয় এবং পরবর্তীতে কবরস্থানে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় মুসলমানদের দাবি, সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এবং প্রশাসনের নজরে বিষয়টি থাকা সত্ত্বেও কেন কাজ বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিডিও এবং জামালপুর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান কোনও মন্তব্য করেননি। জামালপুরের ওসি কৃপা সিন্ধু ঘোষ বলেন, ‘আমরা সমস্যার দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি। জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক এ বিষয়ে অবগত আছেন। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।’ টেঙ্গাবেড়িয়া এলাকার মানুষ বলাবলি করছেন, কারও ইন্তেকাল হলে লাশ দাফন করবে কোথায়? দুর্ভাবনায় আছে এলাকার মুসলমানরা।