১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামী-সন্তান ছেড়ে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে বাস, খুন করে দেহ পুঁতে দিল প্রেমিক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 9

পুবের কলম প্রতিবেদক, খড়গপুর: অবৈধ সম্পর্কে জের, স্বামী-সন্তান ত্যাগ করেন এক মহিলা। অন্যদিকে, ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা যুবকও নিজের স্ত্রী-সন্তান রেখে ঘর ছেড়েছিলেন। সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে ‘চালা’  তৈরি করে লিভ-ইন সম্পর্কে বাস করছিলেন দুজন। ছবছরের সেই সম্পর্কেও একটা সময় চিড় ধরে।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিকার দেহ জঙ্গলে একটি গর্ত থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবকই যুবতীকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল গ্রামের পাশে জঙ্গলে। অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। মৃত মহিলার নাম পবিত্রা সিং (৩২)। গ্রেফতার হয়েছে তরুণ সিং। খড়গপুরের ভালুকমাচা এলাকার এই ঘটনা দিল্লির আফতাব-কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

সোমবার দুপুরে বছর ৪২-এর তরুণ সিংয়ের লিভ-ইন পার্টনার বছর ৩২-এর পবিত্রা সিংয়ের ‘রহস্য মৃত্যু’র ঘটনা সামনে আসে এলাকাবাসীর কাছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পবিত্রাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে তার প্রেমিক। পুঁতে দেওয়া হয়েছে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে। মঙ্গলবার ওই গ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্ত-সহ সমস্ত ধরনের পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহানি সিং বলেন, তরুণ নামে ওই যুবক এলাকায় কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে জানায়, পবিত্রার মৃত্যু হয়েছে। দাহ করতে হবে। এলাকাবাসীরা জানান, এখন তারা চাষের কাজে ব্যস্ত, কিছুক্ষণ দেরি হবে। তাদের অভিযোগ, এর মধ্যেই পবিত্রাকে নিজেদের ‘কুঁড়ে ঘর’ থেকে কিছুটা দূরে, মাঝ-জঙ্গলে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয় তরুণ। আমাদের সন্দেহ পবিত্রা অসুস্থ ছিল। তার উপর তাকে মারধর করে খুন করেছে তরুণ সিং। পরে নিজেই পুঁতে দিয়েছে।’

সোমবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর তরুণ সিংকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে। গ্রামের পুরুষ-মহিলা জানাচ্ছেন, দুজনই নিজেদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে একসঙ্গে থাকত। তরুণের স্ত্রী ও সন্তানরা এই ভালুকমাচা গ্রামেই থাকে। পবিত্রার ক্ষেত্রেও তাই। গ্রামের পাশে জঙ্গল-সংলগ্ন নিরিবিলি এলাকায় ‘কুঁড়ে ঘর’ তৈরি করে বসবাস শুরু করেছিল। তবে মাস ছয়েক পরই সঙ্গিনীর উপর অত্যাচার শুরু করে তরুণ।

গ্রামবাসীরা একযোগে জানিয়েছেন, তারা সেইসব শারীরিক অত্যাচারের সাক্ষী আছেন। মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য অত্যাচার চালানো হত। এভাবেই সোমবারও মদ্যপ অবস্থায় অত্যাচার করে তরুণ তার সঙ্গিনীকে মেরে ফেলে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বামী-সন্তান ছেড়ে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে বাস, খুন করে দেহ পুঁতে দিল প্রেমিক

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, খড়গপুর: অবৈধ সম্পর্কে জের, স্বামী-সন্তান ত্যাগ করেন এক মহিলা। অন্যদিকে, ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা যুবকও নিজের স্ত্রী-সন্তান রেখে ঘর ছেড়েছিলেন। সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে ‘চালা’  তৈরি করে লিভ-ইন সম্পর্কে বাস করছিলেন দুজন। ছবছরের সেই সম্পর্কেও একটা সময় চিড় ধরে।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিকার দেহ জঙ্গলে একটি গর্ত থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবকই যুবতীকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল গ্রামের পাশে জঙ্গলে। অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। মৃত মহিলার নাম পবিত্রা সিং (৩২)। গ্রেফতার হয়েছে তরুণ সিং। খড়গপুরের ভালুকমাচা এলাকার এই ঘটনা দিল্লির আফতাব-কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

সোমবার দুপুরে বছর ৪২-এর তরুণ সিংয়ের লিভ-ইন পার্টনার বছর ৩২-এর পবিত্রা সিংয়ের ‘রহস্য মৃত্যু’র ঘটনা সামনে আসে এলাকাবাসীর কাছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পবিত্রাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে তার প্রেমিক। পুঁতে দেওয়া হয়েছে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে। মঙ্গলবার ওই গ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্ত-সহ সমস্ত ধরনের পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহানি সিং বলেন, তরুণ নামে ওই যুবক এলাকায় কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে জানায়, পবিত্রার মৃত্যু হয়েছে। দাহ করতে হবে। এলাকাবাসীরা জানান, এখন তারা চাষের কাজে ব্যস্ত, কিছুক্ষণ দেরি হবে। তাদের অভিযোগ, এর মধ্যেই পবিত্রাকে নিজেদের ‘কুঁড়ে ঘর’ থেকে কিছুটা দূরে, মাঝ-জঙ্গলে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয় তরুণ। আমাদের সন্দেহ পবিত্রা অসুস্থ ছিল। তার উপর তাকে মারধর করে খুন করেছে তরুণ সিং। পরে নিজেই পুঁতে দিয়েছে।’

সোমবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর তরুণ সিংকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে। গ্রামের পুরুষ-মহিলা জানাচ্ছেন, দুজনই নিজেদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে একসঙ্গে থাকত। তরুণের স্ত্রী ও সন্তানরা এই ভালুকমাচা গ্রামেই থাকে। পবিত্রার ক্ষেত্রেও তাই। গ্রামের পাশে জঙ্গল-সংলগ্ন নিরিবিলি এলাকায় ‘কুঁড়ে ঘর’ তৈরি করে বসবাস শুরু করেছিল। তবে মাস ছয়েক পরই সঙ্গিনীর উপর অত্যাচার শুরু করে তরুণ।

গ্রামবাসীরা একযোগে জানিয়েছেন, তারা সেইসব শারীরিক অত্যাচারের সাক্ষী আছেন। মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য অত্যাচার চালানো হত। এভাবেই সোমবারও মদ্যপ অবস্থায় অত্যাচার করে তরুণ তার সঙ্গিনীকে মেরে ফেলে।