১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 9

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার বুকে দূষণ কমাতে বেশি সংখ্যায় বৈদ্যুতিক চালিত বাস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর ওপরে জোর দিয়েছেন।

সেই সূত্রেই,  সামনে আসে যে দেশের মধ্যে এখন কলকাতা ও শহরতলির বুকে সব থেকে বেশি ই-বাস ও ই-কার চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ধরনের গাড়ি কেনার প্রবণতাও বাড়ছে। কেন না জ্বালানি জ্বলায় তাঁরাও অতিষ্ঠ। কিন্তু এই ধরনের বৈদ্যুতিন যানবাহনের চাহিদা বাংলার বুকে ক্রমশ বেড়ে চলচলেও তার যোগান খুব কম। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই এবার এগিয়ে আসছে ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন ঋষি সুনকের সরকার।

দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন। মঙ্গলবার তাঁর উপস্থিতিতে বাংলা ও ব্রিটেনের মধ্যে মউ সাক্ষরিত হতে চলেছে। এই চুক্তি রাজ্যে মূলত ই-বাইক ও ই-স্কুটার উৎপাদনে নতুন দিশা দেখাবে।

বাংলার বুকে বিশেষ করে কলকাতা ও শহরতলির বুকে দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক যানবাহণের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জোর দেওয়ার বিষয়টি ব্রিটেনের চোখে পড়েছিল সে দেশে বসে থেকেই। বিষয়টি ব্রিটেনের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রত্যক্ষ করেন বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসে। ২০২২ সালের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী ব্রিটেন থেকে এসেছিল।

ই-বাইক ও ই-স্কুটার উৎপাদনের জন্য বাংলার সঙ্গে ব্রিটেনের এই মউ কার্যত সেই বাণিজ্য সম্মেলনেরই ফসল। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে এখন ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে জোর দিয়েছে। এই ধরনের যানবাহনকে সবাই বৈদ্যুতিক গাড়ি নামেই বেশি চেনেন। এই ধরনের যানবাহন তৈরির জন্য রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে ঋষি সুনকের সরকার।

সোমবার শহরে পা রেখেই ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন গিয়েছিলেন নবান্নে। সেখানে তিনি দেখা করেন রাজ্যের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গে। আগামী দিনে রাজ্যের সঙ্গে ব্রিটেনের একাধিক যৌথ উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। যৌথ উদ্যোগে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়টি খুব দ্রুত বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করতে চলেছে ব্রিটেন।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মউ রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে নতুন পথ খুলে দেবে। বৈদুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়টি ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের একাধিক বিষয় নিয়ে বাংলার সঙ্গে ব্রিটেনের গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কলকাতায় আসেন বরিস জনসন। তারপর এই প্রথম ব্রিটেনের কোনও মন্ত্রী শহরে এলেন। বাংলার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন হাডলস্টন।

 

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার বুকে দূষণ কমাতে বেশি সংখ্যায় বৈদ্যুতিক চালিত বাস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর ওপরে জোর দিয়েছেন।

সেই সূত্রেই,  সামনে আসে যে দেশের মধ্যে এখন কলকাতা ও শহরতলির বুকে সব থেকে বেশি ই-বাস ও ই-কার চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ধরনের গাড়ি কেনার প্রবণতাও বাড়ছে। কেন না জ্বালানি জ্বলায় তাঁরাও অতিষ্ঠ। কিন্তু এই ধরনের বৈদ্যুতিন যানবাহনের চাহিদা বাংলার বুকে ক্রমশ বেড়ে চলচলেও তার যোগান খুব কম। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই এবার এগিয়ে আসছে ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন ঋষি সুনকের সরকার।

দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন। মঙ্গলবার তাঁর উপস্থিতিতে বাংলা ও ব্রিটেনের মধ্যে মউ সাক্ষরিত হতে চলেছে। এই চুক্তি রাজ্যে মূলত ই-বাইক ও ই-স্কুটার উৎপাদনে নতুন দিশা দেখাবে।

বাংলার বুকে বিশেষ করে কলকাতা ও শহরতলির বুকে দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক যানবাহণের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জোর দেওয়ার বিষয়টি ব্রিটেনের চোখে পড়েছিল সে দেশে বসে থেকেই। বিষয়টি ব্রিটেনের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রত্যক্ষ করেন বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসে। ২০২২ সালের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী ব্রিটেন থেকে এসেছিল।

ই-বাইক ও ই-স্কুটার উৎপাদনের জন্য বাংলার সঙ্গে ব্রিটেনের এই মউ কার্যত সেই বাণিজ্য সম্মেলনেরই ফসল। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে এখন ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে জোর দিয়েছে। এই ধরনের যানবাহনকে সবাই বৈদ্যুতিক গাড়ি নামেই বেশি চেনেন। এই ধরনের যানবাহন তৈরির জন্য রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে ঋষি সুনকের সরকার।

সোমবার শহরে পা রেখেই ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন গিয়েছিলেন নবান্নে। সেখানে তিনি দেখা করেন রাজ্যের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গে। আগামী দিনে রাজ্যের সঙ্গে ব্রিটেনের একাধিক যৌথ উদ্যোগ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। যৌথ উদ্যোগে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়টি খুব দ্রুত বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করতে চলেছে ব্রিটেন।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মউ রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে নতুন পথ খুলে দেবে। বৈদুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়টি ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের একাধিক বিষয় নিয়ে বাংলার সঙ্গে ব্রিটেনের গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কলকাতায় আসেন বরিস জনসন। তারপর এই প্রথম ব্রিটেনের কোনও মন্ত্রী শহরে এলেন। বাংলার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন হাডলস্টন।