১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিবাসী-বিরোধী পরিকল্পনার বাস্তবায়নে রুয়ান্ডায় ব্রিটিশ মন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 4

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার সাফ ঘোষণা, কোনও অভিবাসীর স্থান  হবে না ব্রিটেনে। তাদেরকে বের করে দেওয়া হবে। এরা শরণার্থী হওয়ার আবেদনও করতে পারবেন না। ঋষি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কেউ এখানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে থাকলে আশ্রয় পাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে পারবে না।’ ঋষির এই বক্তব্যের পর জাতীয় অভিবাসী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারমান রুয়ান্ডা সফরে গিয়েছেন। রাজধানী কিগালিতে তিনি ব্রিটেনের অভিবাসী বিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন  রুয়ান্ডার আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে ব্রাভারমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেনের লন্ডন, গ্লাসগো, ও কার্ডিফ শহরে পথে নেমে আসে জনতা। তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘নিষ্ঠুর মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারমান’। তাদের মুখে স্লোগান, ‘কোনও মানুষই অবৈধ নয়’, ‘সেফ প্যাসেজ চাই, রুয়ান্ডা নয়।’

ব্রিটিশ সরকার চায়, দেশে আগত অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটক করে রুয়ান্ডায় পাঠাতে। রুয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে সেদেশে শরণার্থী শিবির তৈরি করেছে ব্রিটেন। শনিবার কিগালিতে ব্রাভারমান বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে দুই মিত্র দেশ ব্রিটেন এবং রুয়ান্ডার মধ্যে এই অংশীদারিত্ব একটি সমাধান খুঁজে বের করবে যা হবে মানবিক এবং সহানুভূতিপূর্ণ।’ ব্রাভারমানের সঙ্গে ছিলেন রুয়ান্ডার বিদেশমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুতার। ভিনসেন্ট বলেন, ‘এই পদক্ষেপ অপরাধমূলক মানব-পাচার নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করার পাশাপাশি  জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করবে।’

উল্লেখ্য, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রাভারমান। আর তখন থেকেই তিনি উদ্বাস্তুদের টার্গেট করে রেখেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাভারমান বলেছিলেন, ‘ব্রিটেনে অনেক কম দক্ষ অভিবাসী রয়েছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অভিবাসী-বিরোধী পরিকল্পনার বাস্তবায়নে রুয়ান্ডায় ব্রিটিশ মন্ত্রী

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার সাফ ঘোষণা, কোনও অভিবাসীর স্থান  হবে না ব্রিটেনে। তাদেরকে বের করে দেওয়া হবে। এরা শরণার্থী হওয়ার আবেদনও করতে পারবেন না। ঋষি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কেউ এখানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে থাকলে আশ্রয় পাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে পারবে না।’ ঋষির এই বক্তব্যের পর জাতীয় অভিবাসী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারমান রুয়ান্ডা সফরে গিয়েছেন। রাজধানী কিগালিতে তিনি ব্রিটেনের অভিবাসী বিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন  রুয়ান্ডার আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে ব্রাভারমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রিটেনের লন্ডন, গ্লাসগো, ও কার্ডিফ শহরে পথে নেমে আসে জনতা। তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘নিষ্ঠুর মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারমান’। তাদের মুখে স্লোগান, ‘কোনও মানুষই অবৈধ নয়’, ‘সেফ প্যাসেজ চাই, রুয়ান্ডা নয়।’

ব্রিটিশ সরকার চায়, দেশে আগত অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটক করে রুয়ান্ডায় পাঠাতে। রুয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে সেদেশে শরণার্থী শিবির তৈরি করেছে ব্রিটেন। শনিবার কিগালিতে ব্রাভারমান বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে দুই মিত্র দেশ ব্রিটেন এবং রুয়ান্ডার মধ্যে এই অংশীদারিত্ব একটি সমাধান খুঁজে বের করবে যা হবে মানবিক এবং সহানুভূতিপূর্ণ।’ ব্রাভারমানের সঙ্গে ছিলেন রুয়ান্ডার বিদেশমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুতার। ভিনসেন্ট বলেন, ‘এই পদক্ষেপ অপরাধমূলক মানব-পাচার নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করার পাশাপাশি  জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করবে।’

উল্লেখ্য, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রাভারমান। আর তখন থেকেই তিনি উদ্বাস্তুদের টার্গেট করে রেখেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাভারমান বলেছিলেন, ‘ব্রিটেনে অনেক কম দক্ষ অভিবাসী রয়েছে।’