Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the login-customizer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
বিএসএফ বিজিবি শীর্ষ বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি | Puber Kalom
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএসএফ বিজিবি শীর্ষ বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বিএসএফ ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের কথা উঠেছে। দিল্লির লোদি রোডে সিজিও কমপ্লেক্সে বিএসএফের সদর দফতরে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক চলছে। এই বৈঠক শেষ হবে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।

বুধবার ছিল এই বৈঠকের দ্বিতীয় দিন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশের বিজিবির প্রতিনিধিরা সীমান্তে হত্যা রোখার বিষয়ে জোরদার বার্তা দেন। তাঁরা সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে জোর দেন। বিএসএফ, বিজিবির বক্তব্য শোনার পর তাদের জানিয়েছে, বিএসএফ সব সময়ই সীমান্তে হত্যা আক্ষরিক অর্থে শূন্য কারর বিষয়েই চেষ্টা করে। তবে এমন কিছু পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়, যেখানে আর উপায় থাকে না। যেমন এক্ষেত্রে কখনো সংগঠিত অপরাধচক্রের কথা তুলে ধরে বিএসএফ। বিএসএফ জানিয়েছে, সংগঠিত অপরাধচক্র এমন আগ্রাসী হয়ে ওঠে যে গুলি চালানো ছাড়া উপায় থাকে না। এই প্রবণতা এ অপরাধ বন্ধ করতে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা রূপায়ণের ওপর জোর দিয়েছে বিএসএফ। এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাহিনীর তরফে ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরী। অন্যদিকে, ৫৫ তম এই বৈঠকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নানান অধ্যায় দেখা গিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লির বুকে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা দেখা যায়। সেই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বৈঠক ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে উত্তাল পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে বহুবারই দুই দেশের সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে তুমুল উত্তেজনা হয়। সেদিক থেকে এই বৈঠকে যে কাঁটাতার প্রসঙ্গ আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এই প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে, তা দুই দেশের স্বীকৃত বোঝাপড়া অনুযায়ী। বোঝাপড়ার বাইরে কিছু করা হচ্ছে না। দুই দেশের সার্বভৌম সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে যাতে বিজিবি গুরুত্ব দেয়, সেই ডাক দিয়েছে দিল্লি। বিজিবির দাবি, নীতিগত সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত একতরফা বলে বিজিবির অভিযোগ। সেই কারণেই আপত্তি উঠছে বলে দাবি করা হয় বাংলাদেশের তরফে। সূত্রের দাবি, বৈঠকে সীমান্তজুড়ে চোরাচালান বন্ধ, অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণসহ সব বিষয়ই এই বৈঠকে আলোচিত হয়। বিজিবি প্রতিনিধিদলের সম্মানে বিএসএফ নৈশভোজের আয়োজন করে বুধবার

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিএসএফ বিজিবি শীর্ষ বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বিএসএফ ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের কথা উঠেছে। দিল্লির লোদি রোডে সিজিও কমপ্লেক্সে বিএসএফের সদর দফতরে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক চলছে। এই বৈঠক শেষ হবে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।

বুধবার ছিল এই বৈঠকের দ্বিতীয় দিন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশের বিজিবির প্রতিনিধিরা সীমান্তে হত্যা রোখার বিষয়ে জোরদার বার্তা দেন। তাঁরা সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে জোর দেন। বিএসএফ, বিজিবির বক্তব্য শোনার পর তাদের জানিয়েছে, বিএসএফ সব সময়ই সীমান্তে হত্যা আক্ষরিক অর্থে শূন্য কারর বিষয়েই চেষ্টা করে। তবে এমন কিছু পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়, যেখানে আর উপায় থাকে না। যেমন এক্ষেত্রে কখনো সংগঠিত অপরাধচক্রের কথা তুলে ধরে বিএসএফ। বিএসএফ জানিয়েছে, সংগঠিত অপরাধচক্র এমন আগ্রাসী হয়ে ওঠে যে গুলি চালানো ছাড়া উপায় থাকে না। এই প্রবণতা এ অপরাধ বন্ধ করতে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা রূপায়ণের ওপর জোর দিয়েছে বিএসএফ। এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাহিনীর তরফে ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরী। অন্যদিকে, ৫৫ তম এই বৈঠকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের অভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নানান অধ্যায় দেখা গিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লির বুকে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা দেখা যায়। সেই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বৈঠক ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে উত্তাল পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে বহুবারই দুই দেশের সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে তুমুল উত্তেজনা হয়। সেদিক থেকে এই বৈঠকে যে কাঁটাতার প্রসঙ্গ আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এই প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে, তা দুই দেশের স্বীকৃত বোঝাপড়া অনুযায়ী। বোঝাপড়ার বাইরে কিছু করা হচ্ছে না। দুই দেশের সার্বভৌম সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে যাতে বিজিবি গুরুত্ব দেয়, সেই ডাক দিয়েছে দিল্লি। বিজিবির দাবি, নীতিগত সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত একতরফা বলে বিজিবির অভিযোগ। সেই কারণেই আপত্তি উঠছে বলে দাবি করা হয় বাংলাদেশের তরফে। সূত্রের দাবি, বৈঠকে সীমান্তজুড়ে চোরাচালান বন্ধ, অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণসহ সব বিষয়ই এই বৈঠকে আলোচিত হয়। বিজিবি প্রতিনিধিদলের সম্মানে বিএসএফ নৈশভোজের আয়োজন করে বুধবার