২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিএএ, এনআরসি ইস্যু, আমি সন্ত্রাসী নই: শারজিল ইমাম

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শারজিল ইমাম সোমবার দিল্লির একটি আদালতকে বলেছেন, তিনি সন্ত্রাসী নন এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলাটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের কারণে নয় বরং রাজার আদেশের ফল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে শারজিল ইমাম দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অসম এবং বাকি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে নথিভুক্ত মামলার শুনানি করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ অমিতাভ রাওয়াত।
শারজিল ইমামকে যে বক্তব্যের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল সেগুলো ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা করা হয়েছে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি বিচারিক হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
শারজিল ইমামের আইনজীবী তানভীর আহমেদ মীর জামিনের আবেদন করে আদালতকে বলেন, সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান হতে পারে না। মীর বলেন, প্রসিকিউশনের যুক্তির পুরো বিষয় হল আপনি যদি এখন আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহ। তিনি বলেন, শারজিল ইমামকে শাস্তি দেওয়া যাবে না কারণ তিনি ‘সিএএ’ বা ‘এনআরসি’র সমালোচনা করেছিলেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিএএ, এনআরসি ইস্যু, আমি সন্ত্রাসী নই: শারজিল ইমাম

আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শারজিল ইমাম সোমবার দিল্লির একটি আদালতকে বলেছেন, তিনি সন্ত্রাসী নন এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলাটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের কারণে নয় বরং রাজার আদেশের ফল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে শারজিল ইমাম দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অসম এবং বাকি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে নথিভুক্ত মামলার শুনানি করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ অমিতাভ রাওয়াত।
শারজিল ইমামকে যে বক্তব্যের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল সেগুলো ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা করা হয়েছে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি বিচারিক হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
শারজিল ইমামের আইনজীবী তানভীর আহমেদ মীর জামিনের আবেদন করে আদালতকে বলেন, সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান হতে পারে না। মীর বলেন, প্রসিকিউশনের যুক্তির পুরো বিষয় হল আপনি যদি এখন আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহ। তিনি বলেন, শারজিল ইমামকে শাস্তি দেওয়া যাবে না কারণ তিনি ‘সিএএ’ বা ‘এনআরসি’র সমালোচনা করেছিলেন।