উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

- আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
- / 17
মোল্লা জসিমউদ্দিন, প্রতিবেদক: শনিবার সন্ধেবেলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিক শুনানিতে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত এলাকায় পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল। মুর্শিদাবাদের সুতি, শামসেরগঞ্জ-সহ যেসব জায়গায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, সেখানে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল। শনিবার সন্ধ্যায় বিচচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অগ্নিগর্ভ এলাকায় শান্তি ফেরাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে। ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা। তবে সবচেয়ে বেশি অশান্তির ঘটনা ঘটছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে। জেলার শামসেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান্সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এখনও পর্যন্ত বেসরকারি সূত্রে তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা।মুর্শিদাবাদে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছুটির দিন হলেও জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ বেঞ্চ। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। অশান্তি পাকানোর দায়ে ১৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি সৌমেন সেন তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘রাজ্যের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা সামাল দেওয়া। নাগরিককে সুরক্ষা দিতে হবে।’ এর পরেই ধুলিয়ানের কী অবস্থা তা নিয়ে আধ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় বিশেষ বেঞ্চ।