১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার, শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ: সংসদে জানাল কেন্দ্র

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 112

নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ: দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মারনরোগ ক্যান্সার। দেশের পাঁচটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছে, গোটা দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম (এনসিআরপি)-এর তথ্য উদ্ধৃত করে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, “দেশের পাঁচটি রাজ্যে ক্যান্সারের কেস সবচেয়ে বেশি। প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। সেখানে সংখ্যাটি ২,১০,৯৫৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে ক্যান্সার রোগের সংখ্যা ১,২১,৭১৭)। ১,১৩,৫৮১ সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। চতুর্থ বিহারে সংখ্যাটি ১,০৯,২৭৪ এবং পঞ্চম তামিলনাড়ুতে ৯৩,৫৩৬ ক্যান্সারের হদিশ মিলেছে।”

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেন, অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) বৃদ্ধির কারণে সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ১০০% স্ক্রিনিং করার জন্যও আলাদা আলাদা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর কথায়, “দেশব্যাপী আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে এই প্রচার চালানো হয়।”

আইসিএমআর-এনসিআরপি-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ। এদিকে আরও বিপদের সঙ্কেত দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। ঊর্ধ্বমুখী ক্যান্সারের কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তামাক এবং অ্যালকোহলের কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। এছাড়াও অপর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, উচ্চ লবণ, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের ফলে এনসিডিগুলির ঝুঁকির কারণে ক্যান্সার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ফুসফুস এবং স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার, শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ: সংসদে জানাল কেন্দ্র

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার

নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ: দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মারনরোগ ক্যান্সার। দেশের পাঁচটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছে, গোটা দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম (এনসিআরপি)-এর তথ্য উদ্ধৃত করে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, “দেশের পাঁচটি রাজ্যে ক্যান্সারের কেস সবচেয়ে বেশি। প্রথম স্থানে রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। সেখানে সংখ্যাটি ২,১০,৯৫৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে ক্যান্সার রোগের সংখ্যা ১,২১,৭১৭)। ১,১৩,৫৮১ সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। চতুর্থ বিহারে সংখ্যাটি ১,০৯,২৭৪ এবং পঞ্চম তামিলনাড়ুতে ৯৩,৫৩৬ ক্যান্সারের হদিশ মিলেছে।”

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেন, অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) বৃদ্ধির কারণে সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ১০০% স্ক্রিনিং করার জন্যও আলাদা আলাদা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর কথায়, “দেশব্যাপী আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে এই প্রচার চালানো হয়।”

আইসিএমআর-এনসিআরপি-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ। এদিকে আরও বিপদের সঙ্কেত দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। ঊর্ধ্বমুখী ক্যান্সারের কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তামাক এবং অ্যালকোহলের কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। এছাড়াও অপর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, উচ্চ লবণ, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের ফলে এনসিডিগুলির ঝুঁকির কারণে ক্যান্সার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ফুসফুস এবং স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি।