১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্নাটক: জাত শুমারির রিপোর্ট পেশ মন্ত্রিসভায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 23

বেঙ্গালুরু, ১১ এপ্রিল:  ২০২২ সালে জাত-সমীক্ষা করেছিল বিহার। তা নিয়ে তখন জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তারপর কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা তো সরাসরি জাত-শুমারি করে বসে।

 

আর এবার আর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্নাটকও জাত-শুমারির পথে হাঁটতে চলেছে। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের অনগ্রসর (পিছড়েবর্গ) শ্রেণির জন্য তৈরি কমিশন ‘কর্নাটক স্টেট কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস’ শুক্রবার তাদের জাত-শুমারির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় পেশ করেছে।

 

আগামী ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, সেই প্রথম থেকেই গেরুয়া শিবির এই জাত-শুমারিতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তেলেঙ্গানার জাত-শুমারি নিয়েও তারা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল।

 

আর এবার কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়েও সরব পদ্ম শিবির। তাদের অভিযোগ, কারও ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতে এভাবে বিভেদ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংসদে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি দেশব্যাপী জাত-শুমারির সওয়াল করেছিলেন। সমর্থন করেছিলেন ‘জিতনি আদি উতনা হক’ (জনসংখ্যার অনুপাতিক হারে অধিকার) স্লোগানে।

 

কংগ্রেস নেতাদের দাবি, দেশে জাতিগত আদমশুমারিতে কেবল তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) জনসংখ্যারই নয়, ওবিসিদেরও গণনা করা উচিত যাতে ‘ন্যায্য’ সম্পদ বণ্টন এবং প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়।

 

এদিকে, রাজ্যের দুটি প্রধান জাতি-ভোক্কালিগারা এবং লিঙ্গায়তদের প্রতিনিধিত্বকারী ভোক্কালিগারা সংঘ এবং অল ইন্ডিয়া বীরশৈব মহাসভা এই ধরনের জাত-শুমারির বিরোধিতা করেছে। তাদের সন্দেহ, জাত-জরিপে তাদের জনসংখ্যা কম গণনা করা হয়েছে।

 

রাজ্যে সংখ্যাগতভাবে শক্তিশালী বলে মনে করা হয় এই দুটি সম্প্রদায়কে (লিঙ্গায়ত- মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ এবং ভোক্কালিগা-মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ) বিপুল রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী।

 

কর্নাটকের ২৩জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কমপক্ষে ১৬জন এই দুটি জাত-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের নেতারা মনে করেন, এই ধরনের জাত-শুমারিতে তাদের সংখ্যা কম গণনা করার মাধ্যমে দলের ভেতরে এবং বাইরে তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পেতে পারে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্নাটক: জাত শুমারির রিপোর্ট পেশ মন্ত্রিসভায়

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

বেঙ্গালুরু, ১১ এপ্রিল:  ২০২২ সালে জাত-সমীক্ষা করেছিল বিহার। তা নিয়ে তখন জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তারপর কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা তো সরাসরি জাত-শুমারি করে বসে।

 

আর এবার আর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্নাটকও জাত-শুমারির পথে হাঁটতে চলেছে। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের অনগ্রসর (পিছড়েবর্গ) শ্রেণির জন্য তৈরি কমিশন ‘কর্নাটক স্টেট কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস’ শুক্রবার তাদের জাত-শুমারির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় পেশ করেছে।

 

আগামী ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, সেই প্রথম থেকেই গেরুয়া শিবির এই জাত-শুমারিতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তেলেঙ্গানার জাত-শুমারি নিয়েও তারা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল।

 

আর এবার কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়েও সরব পদ্ম শিবির। তাদের অভিযোগ, কারও ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতে এভাবে বিভেদ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংসদে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি দেশব্যাপী জাত-শুমারির সওয়াল করেছিলেন। সমর্থন করেছিলেন ‘জিতনি আদি উতনা হক’ (জনসংখ্যার অনুপাতিক হারে অধিকার) স্লোগানে।

 

কংগ্রেস নেতাদের দাবি, দেশে জাতিগত আদমশুমারিতে কেবল তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) জনসংখ্যারই নয়, ওবিসিদেরও গণনা করা উচিত যাতে ‘ন্যায্য’ সম্পদ বণ্টন এবং প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়।

 

এদিকে, রাজ্যের দুটি প্রধান জাতি-ভোক্কালিগারা এবং লিঙ্গায়তদের প্রতিনিধিত্বকারী ভোক্কালিগারা সংঘ এবং অল ইন্ডিয়া বীরশৈব মহাসভা এই ধরনের জাত-শুমারির বিরোধিতা করেছে। তাদের সন্দেহ, জাত-জরিপে তাদের জনসংখ্যা কম গণনা করা হয়েছে।

 

রাজ্যে সংখ্যাগতভাবে শক্তিশালী বলে মনে করা হয় এই দুটি সম্প্রদায়কে (লিঙ্গায়ত- মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ এবং ভোক্কালিগা-মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ) বিপুল রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী।

 

কর্নাটকের ২৩জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কমপক্ষে ১৬জন এই দুটি জাত-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের নেতারা মনে করেন, এই ধরনের জাত-শুমারিতে তাদের সংখ্যা কম গণনা করার মাধ্যমে দলের ভেতরে এবং বাইরে তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পেতে পারে।