পুবের কলম প্রতিবেদক: মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই বলে থাকেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে আবারও সেই বার্তাই দিলেন তিনি। আজ বুধবার শিবরাত্রি উৎসবের পর আসছে রমযানের মাস। সেইসঙ্গে দোল উৎসব। সব ধর্মের উৎসব যাতে সবাই সম্প্রীতির বাতাবরণে পালন করেন সেজন্য বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি বিধানসভায় মহাকুম্ভকে পর পর দুর্ঘটনার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় তাঁকে সাম্প্রদায়িক তকমা দেওয়ার চেষ্টা চালায় বিরোধীরা। এ দিন নবান্নে মমতা বলেন, আমি কুম্ভস্নান নিয়ে একটি কথাও বলিনি। কে কোথায় যাবে, স্নান করবে, সেটা তার ব্যাপার। প্রতিবার গঙ্গাসাগরেও তো সংক্রান্তিতে নিয়ম-কানুন মেনেই মকর স্নান হয়। কিন্তু এই যে হঠাৎ করে ১৪৪ বছর পর ‘মহাকুম্ভ’ হচ্ছে বলে হাইপ তোলা হয়েছে, এই হিসেবের বিষয়ে আমার একটু ধোঁয়াশা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহাকুম্ভ নিয়ে আমি একটু অজ্ঞ আছি। আমি যতদূর জানি ২০১৪ সালেও মহাকুম্ভ হয়েছিল। কিন্তু এখন শুনছি ১৪৪ বছরের আগে মহাকুম্ভ ছিল না। যদি কোনও বিশিষ্ট মানুষ এই বিষয়ে গবেষণা করে সঠিক তথ্য জানান, তাহলে নিজেকে ধন্দ মিটিয়ে নিতে পারি।
মমতা এ দিন স্পষ্ট ভাষায় যোগী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ধর্মের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি মেনে, পরিকল্পনা করে উৎসব করা উচিত। যে পরিবারগুলি মহাকুম্ভতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনায় স্বজনকে হারিয়েছে তারা যেন অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ পায়। মমতা অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যে ডেথ সার্টিফিকেট প্রয়োজন ছিল, সেটাও যোগী সরকার দেয়নি। আমাদের এখানে যে দেহগুলি এসেছিল আমরা তাঁদের পোস্টমর্টেম করিয়েছি। সেই মৃতদের পরিবারকে অবিলম্বে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য যোগী সরকারের কাছে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্পষ্ট ভাষায় মমতা বলেন, যোগী সাহেব আমাকে যতই গালাগাল দিন তাতে আমার কিছু আশা যায় না। ডেথ সার্টিফিকেট দেননি, অন্তত ক্ষতিপূরণ দিন।
এ দিন গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, সেই সময় আমরা ৫-৬ দিন জেগে থাকি।
দিঘায় হিডকোর হাতে থাকা জমিতে জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারদ্ঘাটন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, তবে এই নিয়ে হাইপ তুলব না। কারণ কুম্ভতে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন।