১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৩- মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিলের কৃ‌তী‌দের সংবর্ধনা  মুখ্যমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 8
  • ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় জন্য প্রতিবন্ধকতা হবে না অর্থ, সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার
  • স্নাতকে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সে সুবিধাই হবে ছাত্রছাত্রীদের: মমতা

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা,  আলিম, ফাজিল এবং সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার, সে কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা বাজতে-না-বাজতে, রাজ্যের বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে হাজির হয় ২০২৩ সালের মেধা তালিকার প্রথম দশের কৃতীরা।

এদিন  কলকাতার সায়েন্স সিটি সংলগ্ন বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে (মিলন মেলায়) কৃতীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্টেজের সামনে ৩০টি পৃথক টেবিলে ৫০০ বেশি কৃতীকে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কৃতীদের ১০টি জেনারেল নলেজ বুক, ল্যাপটপ, ঘড়ি, ডায়েরি, মেডেল, কফিমগ, মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়। পৌনে একটা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিলনমেলার অডিটোরিয়ামে পৌঁছেই কৃতী ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন। কৃতীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফিও তোলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে ‘ইউনিক-ই-গর্ভনেন্স’ এবং ‘দ্য জিমস অব বেঙ্গল’ নামে দুটি বইয়ের উদ্বোধন করেন। এই বই দুটির মধ্যে একটিতে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান এবং অন্যটিতে এই বছরের কৃতীদের বর্ণনা উল্লে’ করা হয়েছে। এই বই তৈরিতে তত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন আইএসএস পিবি সালিম। একই সঙ্গে এদিন স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন সহ বিস্তারিত জানার জন্য একটি অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, এদিন একটা নাগাদ বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রত্যেক জেলা ধরে ধরে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও। এদিন মূলত কৃতীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করেন। আর এরই ফ¥াকে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স নিয়ে সরকারি ভাবনা-চিন্তার বিষয়টিও স্পষ্ট করলেন তিনি।

২০২৩- মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিলের কৃ‌তী‌দের সংবর্ধনা  মুখ্যমন্ত্রীর

এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতীদের উৎসাহ প্রদান করার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ক্ষত্রে স্নাতকে চার বছরের কোর্স প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, স্নাতকের অনার্স কোর্স চার বছরের। এ ব্যাপারে নতুন নীতির ঘোষণা শিক্ষা দফতরের তরফে বুধবারই একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনার মঞ্চে চার বছরের স্নাতকের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি না মেনেও কেন এই পরিবর্তন জরুরি এবং কেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত এই নীতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছেন, তা জানান।

দ্বাদশ শ্রেণির উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দ্বাদশ পাশ করেছে, তাদের বলছি, সরকার  চার বছরের সাম্মানিক স্নাতক পাঠ্যক্রমের নতুন নীতি নিয়েছে। আগে তিন বছর লাগত সাম্মানিক স্নাতক হতে। যারা এর পর পাস কোর্সে পড়বে, তাদের তিন বছরই লাগবে। কিন্তু যারা সাম্মানিক স্নাতক হতে চায়, তাদের পাঠক্রমের মেয়াদ বেড়ে চার বছর হচ্ছে। অনার্সের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর কোর্স হবে এক বছরের।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্নাতকোত্তরের কোর্স নিয়ে একটা নতুন নিয়ম করেছে ইউজিসি। তবে এর একটা সুবিধাও আছে। অনার্স গ্র্যাজুয়েটরা এর পর যখন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা করবে, তখন আর দুবছর পড়তে হবে না। বদলে এক বছরেই মাস্টার ডিগ্রি পাবে তারা। তার মানে দাঁড়াল সেই একই। স্নাতক হয়ে স্নাতকোত্তর হতে পাঁচ বছরই সময় লাগছে। এতে সুবিধাও রয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য সব ধরনের সাহায্য করবে। অর্থের জন্য যাতে কারোর পড়াশোনা আটকে না যায়, সেজন্যই রাজ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার।

মমতা বলেন, উচ্চ শিক্ষার পথে অর্থ প্রতিবন্ধকতা হবে না। এখন ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর তাদের বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য ঋণ নিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার।

একইসঙ্গে এদিন শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে, শিক্ষা দফতরে থাকা ড্রপ বক্সে দেওয়ার পরামর্শ দেন। ড্রপ বক্সে থাকা দাবি, কিংবা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২৩- মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিলের কৃ‌তী‌দের সংবর্ধনা  মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় জন্য প্রতিবন্ধকতা হবে না অর্থ, সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার
  • স্নাতকে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সে সুবিধাই হবে ছাত্রছাত্রীদের: মমতা

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা,  আলিম, ফাজিল এবং সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার, সে কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা বাজতে-না-বাজতে, রাজ্যের বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে হাজির হয় ২০২৩ সালের মেধা তালিকার প্রথম দশের কৃতীরা।

এদিন  কলকাতার সায়েন্স সিটি সংলগ্ন বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে (মিলন মেলায়) কৃতীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্টেজের সামনে ৩০টি পৃথক টেবিলে ৫০০ বেশি কৃতীকে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কৃতীদের ১০টি জেনারেল নলেজ বুক, ল্যাপটপ, ঘড়ি, ডায়েরি, মেডেল, কফিমগ, মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়। পৌনে একটা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিলনমেলার অডিটোরিয়ামে পৌঁছেই কৃতী ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন। কৃতীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফিও তোলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে ‘ইউনিক-ই-গর্ভনেন্স’ এবং ‘দ্য জিমস অব বেঙ্গল’ নামে দুটি বইয়ের উদ্বোধন করেন। এই বই দুটির মধ্যে একটিতে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান এবং অন্যটিতে এই বছরের কৃতীদের বর্ণনা উল্লে’ করা হয়েছে। এই বই তৈরিতে তত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন আইএসএস পিবি সালিম। একই সঙ্গে এদিন স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন সহ বিস্তারিত জানার জন্য একটি অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, এদিন একটা নাগাদ বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রত্যেক জেলা ধরে ধরে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও। এদিন মূলত কৃতীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করেন। আর এরই ফ¥াকে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স নিয়ে সরকারি ভাবনা-চিন্তার বিষয়টিও স্পষ্ট করলেন তিনি।

২০২৩- মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিলের কৃ‌তী‌দের সংবর্ধনা  মুখ্যমন্ত্রীর

এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতীদের উৎসাহ প্রদান করার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ক্ষত্রে স্নাতকে চার বছরের কোর্স প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, স্নাতকের অনার্স কোর্স চার বছরের। এ ব্যাপারে নতুন নীতির ঘোষণা শিক্ষা দফতরের তরফে বুধবারই একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনার মঞ্চে চার বছরের স্নাতকের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি না মেনেও কেন এই পরিবর্তন জরুরি এবং কেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত এই নীতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছেন, তা জানান।

দ্বাদশ শ্রেণির উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দ্বাদশ পাশ করেছে, তাদের বলছি, সরকার  চার বছরের সাম্মানিক স্নাতক পাঠ্যক্রমের নতুন নীতি নিয়েছে। আগে তিন বছর লাগত সাম্মানিক স্নাতক হতে। যারা এর পর পাস কোর্সে পড়বে, তাদের তিন বছরই লাগবে। কিন্তু যারা সাম্মানিক স্নাতক হতে চায়, তাদের পাঠক্রমের মেয়াদ বেড়ে চার বছর হচ্ছে। অনার্সের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর কোর্স হবে এক বছরের।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্নাতকোত্তরের কোর্স নিয়ে একটা নতুন নিয়ম করেছে ইউজিসি। তবে এর একটা সুবিধাও আছে। অনার্স গ্র্যাজুয়েটরা এর পর যখন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা করবে, তখন আর দুবছর পড়তে হবে না। বদলে এক বছরেই মাস্টার ডিগ্রি পাবে তারা। তার মানে দাঁড়াল সেই একই। স্নাতক হয়ে স্নাতকোত্তর হতে পাঁচ বছরই সময় লাগছে। এতে সুবিধাও রয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য সব ধরনের সাহায্য করবে। অর্থের জন্য যাতে কারোর পড়াশোনা আটকে না যায়, সেজন্যই রাজ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার।

মমতা বলেন, উচ্চ শিক্ষার পথে অর্থ প্রতিবন্ধকতা হবে না। এখন ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর তাদের বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য ঋণ নিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার।

একইসঙ্গে এদিন শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে, শিক্ষা দফতরে থাকা ড্রপ বক্সে দেওয়ার পরামর্শ দেন। ড্রপ বক্সে থাকা দাবি, কিংবা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।