নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে গেরুয়া শিবির। রাজধানীতে বিজেপির সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ২৭ বছর পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লিতে ফিরেছে গেরুয়া শিবির। ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পদ্মের দখলে গিয়েছে ৪৮টি আসন৷ এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, কে হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পদ্মের মুখ্যমন্ত্রীর পদে একাধিক নাম ভেসে উঠছে। তা নিয়েও বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
মুখ্যমন্ত্রীর পদের দৌড়ে কে?
বিজেপির অন্দরে শোনা যাচ্ছে, দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন একজন মহিলা। ভোটে পরাজিত হয়েছেন অথব ভোটে লড়েননি, এরকম কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হবে না। সূত্রের খবর, জয়ী ৪৮ জন বিধায়কের মধ্যে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়া হবে৷ সম্ভাব্য মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চারটি নাম উঠে আসছে৷ তাঁরা হলেন, শালিমার বাগ কেন্দ্র থেকে জয়ী রেখা গুপ্ত৷ গ্রেটার কৈলাস থেকে জয়ী বিধায়ক শিখা রায়, ওয়াজিরপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী পুনম শর্মা এবং নজরগড় কেন্দ্র থেকে জয়ী নীলম পহেলওয়ান৷ এছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দলিত সম্প্রদায় অথবা পিছিয়ে থাকা কোনও জনজাতির কোনও প্রতিনিধিকে দেওয়া হতে পারে৷ দিল্লির নতুন মন্ত্রিসভায় দলিত এবং মহিলা মুখ বেশি সংখ্যায় থাকতে পারে।
এর আগে শোনা যাচ্ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা প্রবেশ ভার্মা। দিল্লি নির্বাচনে ‘নতুন দিল্লি’ আসন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রবেশ ভার্মাকে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। দিল্লির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সাহেব সিং ভার্মার সুযোগ্য পুত্র তিনি। পশ্চিম দিল্লি থেকে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন প্রবেশ। পঁচিশের বিধানসভা নির্বাচনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, দিল্লির মসনদে বসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে তিনিই। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা দুষ্যন্ত কুমার গৌতম, বিজেন্দ্র গুপ্ত, রমেশ বিধুরী, মনোজ তিওয়ারি, বীরেন্দ্র সচদেব।