মেদিনীপুর স্টেশনে ফের প্রসূতির বাচ্চা প্রসব, হাসপাতালে পাঠাল ‘সেহেলী’

- আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এই নিয়ে ৪ মাসের মধ্যে তৃতীয় বার। মেদিনীপুর স্টেশনে সন্তান প্রসব ট্রেন যাত্রীর। রবিবার সকালে মেদিনীপুর স্টেশনের কাছাকাছি ট্রেন পৌঁছতেই প্রসব-যন্ত্রণা প্রসূতির। স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই উদ্ধার করে রেলওয়ের ‘সেহেলি’। তবে এবারও স্টেশন চত্বরে বাচ্চা প্রসব হল প্রসূতির। সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে নিয়ে প্রসূতিকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা’তে। অন্যান্য বারের মতো এবারও স্মার্ট টিম ‘সেহেলি’ ধন্যবাদ কুড়ালেন।
বর্ধমান জেলার বারাডিহি এলাকার বাসিন্দা যুবক মজাবুল মণ্ডল সোনার কারিগর। কাজের সূত্রে তিনি স্ত্রী অম্বিকা খাতুনকে নিয়ে গুজরাতে থাকতেন। স্ত্রী সন্তান-সম্ভবা ও প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসছে বুঝতে পেরে গুজরাত থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ট্রেনে। কবিগুরু এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে গুজরাতের জেতালসার স্টেশন থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে মেদিনীপুর স্টেশন-সংলগ্ন কাছাকাছি পৌঁছনোর সময় ওই মহিলার প্রসব-যন্ত্রণা শুরু হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক মনে হওয়ায় মেদিনীপুর স্টেশনে স্ত্রীকে নিয়ে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন মজাবুল। স্টেশনে এক নম্বর প্লাটফর্মে নামতেই কর্মরত আরপিএফ কর্মীরা বুঝতে পেরে তৎপর হয়ে যান। দায়িত্বে থাকা আরপিএফ এবং জিআরপি সেহেলি টিমের কর্মরত মহিলাদের নিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হচ্ছে দেখে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে তোলা মাত্রই গাড়িতে ওই মহিলার পুত্র সন্তান হয়ে যায়। এরপর মা ও সদ্যোজাতকে নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে জিআরপি সিভিক অভিজিৎ রাউত বলেন, ‘স্টেশনে নামার পরে আমরা বিষয়টা বুঝতে পারি। দ্রুত তৎপর হয়ে সকলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশু ও তার মা দু’জনেই ভালো রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত তিন মাস আগে মেদিনীপুর স্টেশনে এক ভবঘুরে মহিলা স্টেশনের সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব করেছিলেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় সেহেলি টিমের মহিলা রেলকর্মীরা। এরপর গত একমাস আগেও একই ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছনোর আগে ট্রেনের কামরাতেই সন্তান প্রসব হয়ে গিয়েছিল এক প্রসূতির। সেক্ষেত্রেও উদ্ধার করে অনুরূপভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।