২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিন সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, স্বীকার করলেন জয়শঙ্কর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 3

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এতদিন মোদি সরকার দাবি করে এসেছে, চিন সীমান্তে তেমন কিছুই ঘটেনি। কেউ আসেনি। অপরদিকে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ভারতের ভূমি কবজা করে নিয়েছে চিনা লাল ফৌজ। এবার নিজেদের দাবি থেকে সরে এসে প্রকারান্তরে বিরোধীদের দাবিকেই মান্যতা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

শনিবার তিনি বলেন, লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় ভারতের সেনা লাল ফৌজের মুখোমুখি হয়ে আছে। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।

এদিন স্পষ্ট করেই জয়শঙ্কর বলেন, আমার মতে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে। চিন বাড়াবাড়ি করলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট দিয়েছে, চিনের ঔদ্ধত্যের জবাব সেনাবাহিনী নামিয়েই দেবে মোদির ভারত। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই ভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাই এই দুই পড়শি দেশের সঙ্গে যেকোনও সময় যুদ্ধ লেগে যেতে পারে ভারতের।

এদিন জয়শঙ্করের মন্তব্য সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল। ১৯৬২-র পর ফের কি তবে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করবে ভারত, উঠছে প্রশ্ন।

২০২০ সাল থেকে বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘাতে জড়িয়েছে। তারপর থেকে লাদাখ সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করছে চিন। তৈরি হচ্ছে নতুন পরিকাঠামো। তবে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় জওয়ানরাও। মোদি সরকার রাস্তা ও হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে। তাই চিন ইট ছুড়লে ভারত পাটকেল দিয়ে তার জবাব দিতে দ্বিধা করবে না

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিন সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, স্বীকার করলেন জয়শঙ্কর

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এতদিন মোদি সরকার দাবি করে এসেছে, চিন সীমান্তে তেমন কিছুই ঘটেনি। কেউ আসেনি। অপরদিকে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ভারতের ভূমি কবজা করে নিয়েছে চিনা লাল ফৌজ। এবার নিজেদের দাবি থেকে সরে এসে প্রকারান্তরে বিরোধীদের দাবিকেই মান্যতা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

শনিবার তিনি বলেন, লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় ভারতের সেনা লাল ফৌজের মুখোমুখি হয়ে আছে। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।

এদিন স্পষ্ট করেই জয়শঙ্কর বলেন, আমার মতে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে। চিন বাড়াবাড়ি করলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট দিয়েছে, চিনের ঔদ্ধত্যের জবাব সেনাবাহিনী নামিয়েই দেবে মোদির ভারত। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই ভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাই এই দুই পড়শি দেশের সঙ্গে যেকোনও সময় যুদ্ধ লেগে যেতে পারে ভারতের।

এদিন জয়শঙ্করের মন্তব্য সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল। ১৯৬২-র পর ফের কি তবে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করবে ভারত, উঠছে প্রশ্ন।

২০২০ সাল থেকে বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘাতে জড়িয়েছে। তারপর থেকে লাদাখ সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করছে চিন। তৈরি হচ্ছে নতুন পরিকাঠামো। তবে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় জওয়ানরাও। মোদি সরকার রাস্তা ও হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে। তাই চিন ইট ছুড়লে ভারত পাটকেল দিয়ে তার জবাব দিতে দ্বিধা করবে না