পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের! সম্প্রতি এই তিন দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। পালটা এবার মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক চাপাল বেজিং এবং অটোয়া। পাশাপাশি আমেরিকার উপর শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে মেক্সিকোও। সবমিলিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’-এ নামল চিন, কানাডা ও মেক্সিকো।
মঙ্গলবার চিনের অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কথা জানানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও পণ্যের উপর ১০ শতাংশ, আবার কোনও পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। আগামী ১০ মার্চ থেকে তা কার্যকর হবে। অন্যদিকে, ট্রুডো জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি শুল্কনীতি নিয়ে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তবে তাঁরাও উচ্চ শুল্ক আরোপ করবে। ১০৭ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৪ লক্ষ কোটি টাকা) মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক চাপাবে। মঙ্গলবার থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ কোটি টাকা) মার্কিন পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ২১ দিন পর দ্বিতীয় বার বাকি মূল্যের পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক চাপাবে কানাডা। আমেরিকা প্রশাসন শুল্কনীতি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মার্কিন পণ্যের উপর আরোপ করা শুল্ক বহাল থাকবে।
মেক্সিকোও আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি শুল্কযুদ্ধে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবাম বলেন, ‘আমেরিকা যদি আমাদের পণ্যে শুল্ক চাপায়, তবে আমরাও তা প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত। আমাদের প্ল্যান বি, সি, ডি তৈরিই আছে।’ তবে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে জানানো হয়নি মেক্সিকোর তরফে।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্কনীতি ঘিরে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কখনোই নমনীয় হবেন না। ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি অনুসরণ করার কথা জানান ট্রাম্প। তাঁর দাবি ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও সেই সব দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের উপর আমেরিকায় ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন ট্রাম্প। একই রকম ভাবে চিনা পণ্যের উপরেও আমেরিকায় ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) মধ্যরাত থেকেই নতুন হারে শুল্ক কার্যকর করা হবে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন।