ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চিন কার্যত নিশ্চুপ। অথচ নীরব থেকেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মাথা গলাচ্ছে বেজিং। সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ হিসাবে বিএনপি-সহ বাংলাদেশের আটটি আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেজিংয়ে।
চিন সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে তাদের সফর শুরু হচ্ছে। ১০ দিনব্যাপী ওই সফরে মোট ২২ সদস্যের টিম যাচ্ছে। সেই টিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামির ৮ সদস্য-সহ ইসলামি দলগুলোর মোট ১৪ প্রতিনিধি চিন সফর করেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে নিযুক্ত চিনা কূটনীতিকদের মতে, আওয়ামী লীগ এবং তার জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর সঙ্গে তাদের যোগাযোগের পথে নাকি কাঁটা বিছিয়ে রেখেছিল সরকার! তাদের দাবি, চিন ৫ আগস্টের আগে থেকেই পরিস্থিতি আঁচ করছিল এবং ক্ষমতার পরিবর্তন যে অবশ্যম্ভাবী তা তারা বেইজিংয়ে নোটিশ করেছিল। চিনা কূটনীতিকদের দাবি মতে, তারা এখন সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। তারই অংশ হিসেবে নভেম্বরে প্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতিনিধিরা চিন সফর করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধিদলে বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচজন নেতা রয়েছেন। এছাড়া নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় পিপলস পার্টি, জাতীয় ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট, গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাতীয় দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন চিন সফরকারী দলে।
পাশাপাশি এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষক মুহাম্মদ নাহিয়ান সাজ্জাদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিনও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। রয়েছেন দুই সাংবাদিকও।